গোপন অভিযানে লক্ষাধিক টাকার চোরাই কাঠ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ২৮ মার্চ:
উত্তর জেলায় বন মাফিয়াদের তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই জেলার কোথাও না কোথাও কাঠ পাচারের সময় বন দফতরের হানায় ধরা পড়ছে গাড়িসহ চেরাই কাঠ। আর এর অধিকাংশই কদমতলা থানা এলাকার বিভিন্ন চোরা পথ ধরে রাতের আঁধারে চলে যাচ্ছে আসামে। কোন কোন সময় বন দপ্তরের অভিযানে গাড়ি সহ কাঠ আটক হচ্ছে।

বৃহস্পতিবারও রাতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ধর্মনগর মহকুমা বন আধিকারিক ও ধর্মনগর রেঞ্জারের গোপন খবরের ভিত্তিতে একটি ডিআই গাড়ির পিছু ধাওয়া করে মহকুমার আনন্দ বাজার এলাকা থেকে কুড়ি লক্ষ টাকার কাঠের চৌ টিম্বার সহ গাড়িটিকে আটক করেন বন কর্মীরা। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটা নাগাদ ধর্মনগর মহকুমা বন আধিকারিক অশোক কুমার ও রেঞ্জার সুপ্রিয় দেবনাথের কাছে গোপন খবর আসে উক্ত এলাকা হয়ে গাড়ি বোঝাই অবৈধ কাঠ পাচার হবে।সেই খবরের ভিত্তিতে দলবল নিয়ে আনন্দ বাজার এলাকায় অভিযান চালান বন কর্তারা।

তখন এএস১১ ইসি- ০৪৫৩ নম্বরের একটি টাটা ডিআই গাড়ি আসলে গাড়িটির পিছু ধাওয়া করে বন কর্মীরা।তখন ডিআই গাড়িটি আনন্দ বাজার -তিলথৈ সড়ক ধরে এগোতে থাকে। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চালক গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। এদিকে ধর্মনগর মহকুমা বন আধিকারিক অশোক কুমার জানান, ডিআই গাড়ি থেকে মোট একশো ফুট কাঠের চৌ টিম্বার উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য আনুমানিক কুড়ি লক্ষ টাকা হবে।

তবে চালক সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায়। এমর্মে বন আইনে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হবে। বর্তমানে চৌ টিম্বার বোঝাই ডিআই গাড়িটি মহকুমা বন আধিকারিকের অফিসেই হয়েছে। অপরদিকে বন কর্মীদের কাঠ বিরোধী অভিযানের সময় প্রায় কুড়ি জনের একটি দল বাইক নিয়ে বন কর্মীদের পিছু ধাওয়া করে। যদিও বন কর্মীদের সামনাসামনি হতে সাহস দেখায়নি ওই দলটি। এতে এক প্রকার নিশ্চিত যে এই কাঠ পাচারের পেছনে সক্রিয় প্রভাবশালী চক্র রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *