প্রাণীসম্পদের স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে: প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ মার্চ:
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিকশিত ভারত গঠনে যে স্বপ্ন দেখেছেন তাতে ত্রিপুরাও আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে সক্ষম হবে। এবারের রাজ্যের বাজেট সেভাবেই প্রস্তুত করা হয়েছে। এই বাজেট সর্বস্পর্শি এবং প্রতিটি অংশের মানুষের কথা মাথায় রেখেই বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য বিধানসভায় পেশ করা বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন। পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আলোচনায় অংশ নিয়ে আরও বলেন, ত্রিপুরা ক্রমশ আত্মনির্ভর হচ্ছে। রাজ্যের গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বেড়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আমরা ক্রমশ বিকশিত ত্রিপুরার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

পর্যটনমন্ত্রী বলেন, সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা করেই এবারের বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, জনজাতি কল্যাণ, পর্যটনের প্রসার প্রভৃতি ক্ষেত্রে রাজ্যের উন্নয়নের তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য নানা পরিকল্পনা রূপায়ণ করা হচ্ছে। নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন, মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা, কৃষির অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি, সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় প্রভৃতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যতদিন থাকবে ততদিন কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা হবে। তিনি বলেন, আগামী ২ বছরের মধ্যে ত্রিপুরাকে দেশের পর্যটন মানচিত্রে উল্লেখযোগ্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ চলছে। এই বাজেট যারা বিরোধীতা করছেন তারা রাজ্যের মানুষের আশা আকাঙ্খার বিরোধীতা করছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তপশিলিজাতি কল্যাণ মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, এই বাজেট আগামী দিনে রাজ্যবাসীর আর্থসামাজিক অবস্থার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, প্রাণীসম্পদের স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থ বছর থেকে ৫৫টি নতুন মিনি মোবাইল ভেটেরিনারি ইউনিট চালু করা হবে। এর জন্য ৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার্স ইউনিয়ন লিমিটেডকে বামুটিয়ায় একটি নতুন দুগ্ধ উৎপাদন প্রকল্প তৈরীর জন্য ২ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী প্রাণীপালক সম্মান নিধি চালু হওয়ার পর প্রাণীপালকগণ আরও উৎসাহিত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই ৫ হাজার প্রাণীপালককে ৬ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের পিছিয়েপড়া অংশের মানুষের উন্নয়নে রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করছে। মহিলাদের আর্থিক দিক দিয়ে স্বনির্ভর করে তুলতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গ্রামে গরীব ও আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করা হচ্ছে। তপশিলিজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরামর্শে এবং মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ত্রিপুরা দ্রুত গতিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *