আগরতলা, ২৬ মার্চ : পবিত্র বিধানসভায় বিরোধীদের কন্ঠরোধ করছেন অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন। আসলে বিধানসবাই অধ্যক্ষের হাতে গণতন্ত্র জবাই হচ্ছে। তাই চলতি বাজেট অধিবেশনের বাকি দিনগুলো বয়কট করলো সিপিআইএম। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। সাথে তাঁর দাবি, বিজেপি সরকারের আমলে ত্রিপুরা বিধানসভায় গণতন্ত্রকে খুন করা হয়েছে। আজকের দিনটি কলঙ্কিত অধ্যায় হয়ে থাকবে।
এদিন তিনি বলেন, যখন আমি সংসদে এমপি ছিলাম এমনকি ত্রিপুরা বিধানসভায় যখন আমরা ক্ষমতায় ছিলাম এবং কংগ্রেস বিরোধী দলে ছিল, তখন বাজেট নিয়ে আলোচনার জন্য ন্যূনতম এক ঘন্টা বা তার বেশি সময় বরাদ্দ করা হত। কারণ বিরোধীরা সরকারের ভুলগুলি তুলে ধরত এবং পরামর্শ প্রদান করত। গত ২৪ মার্চ ত্রিপুরা বিধানসভায় রীতি অনুযায়ী প্রস্তাবিত বাজেটের উপর আলেচনা শুরু করেছিলেন। আলোচনা রাখতে গিয়ে বর্তমান সরকারের মুষ্টিমেয় লোক জনগণের অর্থ-সম্পদ লুটছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। কমিশন বা কাটমানির বাণিজ্য চালাচ্ছে এই মুষ্টিমেয় লোক বলেও আভিভিযোগ তুলেন তিনি। তখনই পরিষদীয় মন্ত্রী রতন লাল নাথ অপমানজনক মন্ত্যব করতে থাকেন। পবিত্র বিধানসভায় জাত চিনিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলে অভিযোগ তাঁর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পরিষদীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ দিয়েছেন তিনি। এবিষয়ে অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন বিধানসভায় বললেন, দুইটি স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অধ্যক্ষের দাবি, প্রথম পরিষদীয় মন্ত্রী রতন লাল নাথ স্বাধিকার ভাঙ্গনের নোটিশ জমা দিয়েছেন। তাই দ্বিতীয় নোটিশ গ্ৰহণ না করে পরিষদীয় মন্ত্রীর উত্থাপিত স্বাধিকার ভাঙ্গনের নোটিশ গ্রহণ করেছেন। এদিকে বিরোধী দলনেতার দাবি, তিনি পরিষদীয় মন্ত্রীর আগেই নোটিশ জমা দিয়েছেন। আসলে, নিজের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে পবিত্র বিধানসভার গড়িমাকে নষ্ট করেছেন অধ্যক্ষ।
এদিন তিনি আরো বলেন, বিজেপি সরকারের আমলে ত্রিপুরা বিধানসভায় গণতন্ত্রকে খুন করা হয়েছে। চলতি বাজেট অধিবেশনে কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করেছে শাসক দল বিজেপি। এদিন তিনি অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, পবিত্র বিধানসভায় বিরোধীদের কন্ঠ রোধ করছেন অধ্যক্ষ। তাঁর অভিযোগ, পবিত্র বিধানসভায় বিরোধীদের কন্ঠরোধ করছেন অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন। আসলে বিধানসবাই অধ্যক্ষের হাতে গণতন্ত্র জবাই হচ্ছে। তিনি দিনকে রাত এবং রাতকে দিন করার জন্য অসত্যকে সামনে রাখার নাজির স্থাপন করেছেন। তাঁর আরো অভিযোগ, শাসক দলের রেফারি হয়ে কাজ করছেন তিনি। তারপরও জনস্বার্থে গত তিন দিন ধরে বিধানসভাই সিপিএমের বিধায়করা লড়াই করে যাচ্ছিলেন।