আগরতলা, ২৪ মার্চ: ককবরক ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ভাষার উন্নয়ন ও বিকাশে রাজ্য সরকার আন্তরিকভাবে সচেষ্ট ও যত্নশীল। এজন্য রাজ্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন কলেজে আরো ৪০১ জন সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের জন্য প্রক্রিয়া চলছে।
সোমবার রাজ্য বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে এই তথ্য তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
সভায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ককবরক ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ভাষার উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ২,১৬,৭৮,০০০ টাকা আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ককবরক ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ভাষাভাষী ছাত্রছাত্রীরা যাতে মাতৃভাষায় পড়াশুনা করতে পারে এরজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাদের ভাষা প্রসারের জন্য সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং ককবরক ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ভাষার বিভিন্ন পুস্তিকা প্রকাশে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এরজন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন রয়েছে।
তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরো জানান, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধীনে বর্তমানে ২৫টি সরকারি ডিগ্রি কলেজ, ৫টি প্রফেশনাল ডিগ্রি কলেজ, ৬টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ১টি ডিগ্রি টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট এবং ৩টি এনসিসি ইউনিট রয়েছে। রাজ্যের এসকল কলেজ ও প্রতিষ্ঠানগুলিতে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে সুইপিং, ক্লিনিং স্টাফ, সিকিউরিটি গার্ড, কুক সহ বিভিন্ন পদে ৪৭৩ জন কর্মচারীকে অর্থ দপ্তরের অনুমোদন পাওয়ার পর নিয়োগ করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০২৪ – ২৫ অর্থ বছরে রাজ্য সরকার ৪১ জন গ্রুপ সি কর্মচারী এবং ১৩৭ জন মাল্টি টাস্কিং (গ্রুপ ডি) কর্মচারীকে জেআরবিটির মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধীনে থাকা বিভিন্ন কলেজ ও প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত করেছে। এর পাশাপাশি ২০২২ – ২৩ অর্থ বছরে ১০০ জন সহকারী অধ্যাপককে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও ২০১ জন সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। সেই সঙ্গে আরো ২০০ জন সহকারী অধ্যাপক পদ সৃষ্টির জন্য অর্থ দপ্তর অনুমোদন দিয়েছে। ইতিমধ্যে ১৩টি সাধারণ ডিগ্রি কলেজে স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য ত্রিপুরা পাবলিক সার্ভিস কমিশন (টিপিএসসি) এর কাছে পাঠানো হয়েছে। আর যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। রাজ্য সরকার বরাবরই স্থায়ী পদে নিয়োগের জন্য সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।