আগরতলা, ২১ মার্চ : ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার বিশালগড়ের চাম্পামুড়া গ্রামে শুরু হয়েছে বাণিজ্যিক ফুল চাষ। ১৬ জন কৃষক মিলে দুই হেক্টর জমিতে গাঁদা ফুলের চাষ শুরু করেছেন এই বছর। এই অঞ্চলের ফুল জেলার ও আগরতলার ফুলের চাহিদার একটি অংশ পূরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রথমে চাষিরা সবজি চাষ করতেন, তবে বানরের সমস্যা নিয়ে চিন্তা করার পর ফুল চাষে আগ্রহী হন। বিশালগড় কৃষি সেক্টর অফিসের উদ্যোগে ফুল চাষের প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজিত হয়।
ওই এলাকার ফুল চাষী টিটন চৌধুরী প্রায় ২ কানি জমিতে গাঁদা ফুলের চাষ করেছেন এবং অন্যান্য ফুল চাষের পরিকল্পনা করছেন। কৃষক শিবু শীল প্রতিদিন মাঠ থেকে ফুল সংগ্রহ করে বিক্রি করেন, যেখানে পাইকারী বিক্রেতারা তার বাড়ি থেকেই ফুল সংগ্রহ করেন। মালা তৈরি করে ফুল বিক্রি করলে বেশি লাভ পাওয়া যায়। এছাড়াও কৃষি উদ্যান বিভাগ থেকে ফুল চাষের প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
এদিকে, ফুল চাষী সুরজিৎ ভৌমিক দেড় কানি জমিতে গাঁদা ফুল চাষ করেছেন এবং সারা বছর ফুলের যোগান দিতে বর্ষাকালীন ফুল চাষে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সার্কেল ইনচার্জ ফনী ভূষণ সরকার জানান, এই বছর চাম্পামুড়াতে প্রথম ফুল চাষ শুরু হয়েছে। কৃষি সেক্টর অফিসার, সুপারিনটেনডেন্ট এবং ডেপুটি ডিরেক্টর হর্টিকালচার এই গ্রামে প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করেছেন। চাম্পামুড়া ও লক্ষিবিল গ্রামে প্রায় কুড়ি হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ হয়েছে এবং প্রায় ৩০০ পরিবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ফুল চাষের সাথে জড়িত।
মিশন ফর ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট অফ হর্টিকালচার যোজনার মাধ্যমে ফুল চাষিদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এই উদ্যোগটি চাম্পামুড়া গ্রামের কৃষকদের জন্য একটি নতুন দিশা খুলে দিয়েছে এবং রাজ্যের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।