নয়াদিল্লি, ১৯ মার্চ (হি.স.): অধ্যবসায়ের প্রকৃত অর্থ কী, তা দেখিয়ে দিলেন সুনীতা উইলিয়ামস ও ক্রু ৯। সুনীতার পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনে এই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “স্বাগতম, ক্রু ৯! পৃথিবী তোমাকে মিস করেছে। তাঁদের এই পরীক্ষা ছিল দৃঢ়তা, সাহস ও অসীম মানবিক চেতনার পরীক্ষা। সুনিতা উইলিয়ামস এবং ক্রু ৯ মহাকাশচারীরা আবারও আমাদের দেখিয়েছেন যে, অধ্যবসায়ের প্রকৃত অর্থ কী। বিশাল অজানার মুখোমুখি হয়ে তাদের অটল দৃঢ়তা চিরকাল লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে। মহাকাশ অনুসন্ধানের অর্থ হল, মানুষের সম্ভাবনার সীমা অতিক্রম করা, স্বপ্ন দেখার সাহস করা এবং সেই স্বপ্নগুলিকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার সাহস অর্জন করা। একজন পথিকৃৎ এবং আইকন সুনীতা উইলিয়ামস তার ক্যারিয়ার জুড়ে এই চেতনার উদাহরণ দিয়েছেন। যারা তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের সকলের জন্য আমরা অবিশ্বাস্যভাবে গর্বিত। তারা দেখিয়েছেন যে, যখন নির্ভুলতা আবেগের সাথে মিলিত হয় এবং প্রযুক্তি দৃঢ়তার সাথে মিলিত হয় তখন কী হয়।”
উল্লেখ্য, মহাকাশে প্রায় ৯ মাস কাটানোর পরে অবশেষে পৃথিবীতে ফিরে এলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। ভারতীয় সময় বুধবার ভোর ৩টে ২৭ মিনিটে তাঁদের নিয়ে ফ্লোরিডার উপকূলের সমুদ্রে নিরাপদে অবতরণ করে স্পেসএক্সের ড্রাগন যান। সঙ্গে ছিলেন নিক হেগ ও আলেকজান্দার গরবুনভ। মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের কাজ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। নির্দিষ্টি সময়ে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে সুনীতাদের আকাশযান। এরপর ধাপে ধাপে দ্রুত গতি কমিয়ে আনা হয়। এর পরে নির্ধারিত নির্ঘণ্ট অনুযায়ী চারটে প্যারাশ্যুটের সাহায্যে অবতরণ করে ড্রাগন। তাঁদের নিরাপদ অবতরণে গুরুপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে নাসার এন্ট্রি সিস্টেমস অ্যান্ড টেকনোলজি ডিভিশনের বিশেষজ্ঞরা।