ত্রিপুরা বাম জমানায় রক্ত রঞ্জিত ছিল, আজ বিজেপি জমানায় অপরাধের হার ৩০ শতাংশ কমেছে : জে পি নাড্ডা

আগরতলা, ৯ মার্চ: ত্রিপুরা বাম জমানায় রক্ত রঞ্জিত ছিল। আজ সেই রাজ্য বিজেপি জমানায় অপরাধের হার ৩০ শতাংশ কমেছে। আজ দ্বিতীয় বিজেপি সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়েজিত জনসমাবেশে সিপিএমের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রী জে পি নাড্ডা। সাথে তিনি যোগ করেন, নেশা মুক্ত ত্রিপুরার গড়ার লক্ষ্যে প্রশংসনীয় কাজ করেছে বিজেপি সরকার।

এদিন শ্রী নাড্ডা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন হয়েছে। কারণ, বিজেপি সরকার সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে। বিজেপির নীতিই জনগণের সেবা করা। বিজেপি কখনো ক্ষমতার লাভের জন্য রাজনীতি করে না, বলে দাবি করেন তিনি।তাঁর কথায়, ২৭ বছর পর দিল্লিতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসেছে। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আপ-এর পরাজয় নিশ্চিত ছিল। কারণ, আপ সরকার দূর্নীতিতে নিম্মজ্জিত। বিজেপি সরকারের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর দিল্লি আপমুক্ত হয়েছে। তেমনি, দীর্ঘ ২৫ বছরের বাম রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে ত্রিপুরায় উন্নয়নের সরকার ক্ষমতা এসেছি। তারপর থেকে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহার নেতৃত্বে ত্রিপুরা উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে। বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে রাজ্যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে ইন্টারনেট পরিষেবা পর্যন্ত রাজ্যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে।

এদিন তিনি জোর গলায় বলেন, ত্রিপুরায় পূর্বে বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে চলা সরকার আর বর্তমানে ডাঃ মানিক সাহার নেতৃত্বের সরকার ত্রিপুরার সকল অংশের মানুষের সরকার। তাই জনগণ বিজেপির উপর আস্থা রেখে ২০১৯ এবং ২০২৪ সালেও লোকসভ আসনে ত্রিপুরা থেকে দুটি পদ্মফুল উপহার দিয়েছেন। তাই তিনি আপামর ত্রিপুরাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সাথে তিনি যোগ করেন, বর্তমানে অধ্যাপক (ডাঃ) মানিক সাহার নেতৃত্বাধীন সরকার এখন ত্রিপুরার জনগণের আওয়াজ হয়ে উঠেছে।

তাঁর দাবি, বিজেপির জমানায় ত্রিপুরায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ইন্টারনেট পরিষেবা সহ সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। কারণ, বিজেপি জনগণের সেবার জন্য কাজ করে। বিগত দিনে ত্রিপুরা সিপিএমের জমানায় রক্ত রঞ্জিত ছিল। সেই ত্রিপুরায় বিজেপি জমানায় অপরাধের হার ৩০% কমেছে। পাশাপাশি, নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় কাজ হচ্ছে।

এদিন তিনি বলেন, আজ আমি ত্রিপুরা সরকারের দুটি বড় স্কিম ঘোষণা করছি। এরমধ্যে প্রথমটি হচ্ছে – মুখ্যমন্ত্রী বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা। এই প্রকল্পে বিপিএল পরিবারে কন্যা সন্তানের জন্ম হলে ত্রিপুরা সরকার সেই নবজাত কন্যা সন্তানের নামে ৫০ হাজার টাকার বন্ড দাখিল করবে। এরপর মেয়েটি ১৮ বছর হলে সে বন্ডটি গ্রহণ করবে এবং যার মূল্য হবে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ঘোষিত অপর প্রকল্পটি হচ্ছে – মুখ্যমন্ত্রী কন্যা আত্মনির্ভর যোজনা। যে প্রকল্পের আওতায় সমস্ত স্তরের বোর্ড পরীক্ষায় বসা ১৪০ জন মেধাবী উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রীকে স্কুটি প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। আর এই দুটি প্রকল্পেরই পরিকল্পনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এদিন স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে আয়োজিত সুবিশাল জনসভায় সর্বভারতীয় সভাপতি জে.পি. নাড্ডার হাতে ত্রিপুরাবাসীর আশীর্বাদধন্য দ্বিতীয় বিজেপি সরকারের ২ বছরের জনকল্যাণকারী কাজের খতিয়ান সম্বলিত পুস্তিকার শুভ উন্মোচন হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *