লখনউ, ১৯ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পূর্ব উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন সহ ক্ষেত্র সঙ্ঘচালক রামকুমার বর্মা (৮২) প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর প্রয়াণে সরসঙ্ঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত ও সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবালে শোকপ্রকাশ করেছেন।
তাঁর প্রয়াণে শোকবার্তায় সরসঙ্ঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত ও সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবালে জানিয়েছেন, “রামকুমারের প্রয়াণ সংবাদে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। একজন নিষ্ঠাবান ও আদর্শ স্বয়ংসেবকের জীবনসমাপ্তি হল। তিনি শুধুমাত্র একজন সংগঠকই ছিলেন না বরং সঙ্ঘের প্রতিটি কর্মীর অভিভাবক ছিলেন। তাঁর প্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব, অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সংগঠনের প্রতি অগাধ নিষ্ঠা সর্বদা স্মরণীয় থাকবে। তিনি পূর্ব উত্তর প্রদেশে সঙ্ঘকর্মের এক স্তম্ভ ছিলেন। তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি এবং প্রার্থনা করি, ঈশ্বর শোকসন্তপ্ত পরিবারকে এই শোক সহ্য করার শক্তি দান করুন এবং প্রয়াত আত্মাকে চিরশান্তি প্রদান করুন।”
সহ ক্ষেত্র সঙ্ঘচালক রামকুমার বর্মার উত্তর প্রদেশের সীতাপুর জেলার মহমুদাবাদ মহকুমারের অন্তর্গত পোখরা কলা গ্রামে ১৯ জুলাই ১৯৪৩ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি গণিতে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন এবং সীতাপুরের কমলাপুর ইন্টার কলেজে গণিতের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭০ সালে প্রথম বর্ষের সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ ও ১৯৭২ সালে দ্বিতীয় বর্ষের সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ সম্পন্ন করেন।
তিনি সঙ্ঘের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতেন তার মধ্যে উল্লেখ্য দায়িত্ব গুলি হল ; তহশিল কার্যবাহ, সীতাপুর জেলার কার্যবাহ,বিভাগ কার্যবাহ, ১৯৯৬ সালে উত্তরপ্রদেশের সহ প্রান্ত কার্যবাহ, ২০০০ সালে পূর্ব উত্তর প্রদেশের ক্ষেত্র কার্যবাহ, ২০২১ সালে পূর্ব উত্তর প্রদেশের সহ ক্ষেত্র সঙ্ঘচালক।
রামকুমার রাম মন্দির আন্দোলনের একজন সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন। ৭ অক্টোবর ১৯৮৪ সালে অযোধ্যায় প্রথম ‘সঙ্কল্প সভা’-তে তিনি অংশ নেন। এরপর ১৪ অক্টোবর ১৯৮৪ সালে লখনউয়ের বেগম হাজরত মহল পার্কে আয়োজিত বিশাল জনসভায়ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। রাম মন্দির আন্দোলনের প্রতিটি পর্যায়ে তিনি যুক্ত ছিলেন এবং তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা সঙ্ঘের কর্মীদের সবসময় অনুপ্রাণিত করত। তাঁর প্রয়াণে সঙ্ঘ পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।