আগরতলা, ২৮ জানুয়ারি : ট্রেন যাত্রাকালে দুই ছাত্রী সহ শিক্ষককে হেনস্থা প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রদেশ মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী সর্বাণী ঘোষ চক্রবর্তী। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র প্রবীর চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, ২৬ জানুয়ারি তেলিয়ামুড়া থানাধীন হদ্রাইস্থিত হরি রাধা বিদ্যামন্দিরের শিক্ষক পরিতোষ পাল বিদ্যালয়ের ২ ছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে ট্রেনে যাত্রা করেন। ট্রেনে দুই ছাত্রীর সাথে শিক্ষককে দেখে তাদের চেপে ধরেন কয়েকজন কংগ্রেস নেত্রী। কারণ ওই শিক্ষকের কাছে দুই ছাত্রীকে হোস্টেল থেকে বের হওয়ার কোনও অনুমতিপত্র ছিলনা। শিক্ষক বিভিন্নভাবে নিজের সত্যতা প্রমাণ করার চেষ্টা করলেও কংগ্রেস নেত্রীরা কোনও কথা শুনেননি। তারা ওই শিক্ষককে পুলিশের হাতে তুলে দেন। শেষ পর্যন্ত দুই ছাত্রীর অভিভাবককে থানায় আসলে তিনি ছাড়া পান। কংগ্রেস নেত্রীদের ভূমিকায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে সোমবার বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকের হয়ে বিচার চেয়ে স্কুল বয়কট করে বিক্ষোভ দেখায়। এদিকে নেত্রীদের বিরুদ্ধে রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষক পরিতোষ পাল।
এদিকে, আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে শিক্ষক হেনস্থার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দা করেছেন প্রদেশ মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী সর্বাণী ঘোষ চক্রবর্তী। পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র প্রবীর চক্রবর্তীও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
এদিন প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র প্রবীর চক্রবর্তী বলেন, কংগ্রেসের মহিলা নেত্রীদের দ্বারা শিক্ষককে এভাবে হেনস্থা করার বিষয়টি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই ঘটনাটি শিক্ষক পরিতোষ পাল যেন বিষয়টি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখেন, কারণ ঘটনাটি সন্দেহ বশে হয়েছে।
পাশপাশি তিনি এটাও বলেন, ওই শিক্ষক হেনস্থার ঘটনার সাথে প্রদেশ মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী এবং জেলা সভানেত্রী যুক্ত ছিলেন না। তাদের অজান্তে এসবকিছু ঘটেছে। সংবাদ মাধ্যমে তথা সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনার সাথে তাদের নাম যুক্ত করার পেছনে অন্য কোনও চক্রান্ত থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে, প্রদেশ মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী সর্বাণী ঘোষ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর দেখে এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন তিনি। এই ঘটনার সম্পর্কে তিনি পূর্বে জানতেন না। পাশাপাশি তিনি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং প্রদেশ মহিলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।