জনপ্রতিনিধিদের মানুষের পাশে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে : অর্থমন্ত্রী

আগরতলা, ২৫ জানুয়ারি : জনপ্রতিনিধিদের মানুষের পাশে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। রাজ্যের প্রান্তিক জনপদের অন্তিম ব্যক্তিরা যাতে সরকারি প্রকল্প পরিষেবার সুযোগ পায় তা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আজ বিলোনীয়ার শচীন দেববর্মণ অডিটোরিয়ামে বিলোনীয়া পুর পরিষদের ৩য় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক নাগরিক সমাবেশে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় একথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় এদিন বিলোনীয়া মহকুমা হাসপাতালে ৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মাতৃত্ব ও শিশু বিভাগের নবনির্মিত পাকা ভবনের উদ্বোধন করেন। তাছাড়াও অর্থমন্ত্রী বিলোনীয়া দ্বাদশ শ্রেণী বালিকা বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে ব্যয় হবে ৮ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, দক্ষিণ ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি দীপক দত্ত, বিলোনীয়া পুর পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল চন্দ্র গোপ, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা স্মিতা মল, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার অশোক সিনহা, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার দেববর্মা, সমাজসেবী দীপায়ন চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিলোনীয়া পুর পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক দেবাশিস দাস।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় আরও বলেন, রাজ্যের বর্তমান সরকারের লক্ষ্য জনগণের সার্বিক উন্নয়ন। রাজ্যের সার্বিক বিকাশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পরিকাঠামো উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও মানুষের আর্থসামাজিক মান উন্নয়নে কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্যের মানুষকে আত্মনির্ভর করে তুলতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিষেবা সফলভাবে রূপায়িত হচ্ছে। মানুষ তার সুফলও পাচ্ছেন। স্বাস্থ্য পরিষেবায় কিডনি প্রতিস্থাপন সহ ক্যান্সারের উন্নত চিকিৎসা এখন রাজ্যেই হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকায় মহিলাদের আত্মনির্ভর করে তুলতে ত্রিপুরা গ্রামীন জীবিকা মিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। স্বসহায়ক দলের মাধ্যমে রাজ্যের অনেক মহিলা লাখপতি দিদি হয়ে উঠছেন। অনুষ্ঠানে সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার নেতৃত্বে রাজ্যেও বিকশিত ত্রিপুরা গঠনের কাজ চলছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয়জল, বিদ্যুৎ পরিষেবার সুযোগ প্রতিটি গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *