যুবশক্তির উন্নয়ন জাতির উন্নয়নের চাবিকাঠি : মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ২৪ জানুয়ারি: যুবদের বিকাশ না হলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবসময় একথা বলেন। অথচ রাজ্যের পূর্বতন সরকার যুবদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোন পদক্ষেপ নেয়নি। আর বর্তমান সরকার যুবশক্তির বিকাশে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। শুক্রবার আগরতলার প্রজ্ঞাভবনে ‘ত্রিপুরা স্টার্টআপ পলিসি ২০২৪’ এর সূচনা করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 

তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ২০১৯ সালে এই পলিসি শুরু হয়েছিল এবং আজ আমরা এটিকে একটি নতুনভাবে শুরু করেছি। শুধু আইটি ক্ষেত্র নয়, আমরা কৃষি, বাঁশ, খাদ্য এবং অন্যান্য খাতকেও এতে যুক্ত করেছি। অথচ আগের সরকারের সময়ে যুবরা কখনো সহযোগিতা পায়নি। যে কারণে তারা দিশাহীন হয়ে পড়ে। আর সব মানুষকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। এই ধরনের পলিসি সত্যিই অপরিহার্য এবং আমি এই ধরনের পলিসি তৈরির সাথে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।  

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা সত্য যে যুবরা খুবই উদ্যমী এবং সক্ষম। তবে তাদের উদ্যম ও উৎসাহ সবসময় সঠিক দিশায় যায় না। এই পলিসি তাদের উদ্যমকে সঠিকভাবে চালিত করবে এবং যুবরা সরকারের কাছ থেকেও প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবে। এই জাতীয় নীতি যুবদের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি, এর মাধ্যমে তাদের শিল্পপতি বা উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নগুলি পূরণ করতে সক্ষম হবে। এই ধরনের উদ্যোগ ‘এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা’ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। ব্যাংকগুলিও আরও ভাল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার লক্ষ্যে এই যুবদের আর্থিক সহায়তা দেবে। এই পলিসির অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে সমাজের সমস্ত স্তর থেকে যুবদের যুক্ত করে বেকারত্ব মোকাবিলা করা।  

মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, যখন এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল আইআইটি, আইআইএম, নিট সহ দেশের অন্যান্য কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সাথে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ স্থাপন করে। অল্প বয়স থেকেই তরুণদের আরও উঁচু জায়গায় নিয়ে যেতে এটা একটা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। ১.২৫ লক্ষেরও বেশি ব্যাঙ্ক শাখা যুবদের উৎসাহিত করছে। আর এটা নিশ্চিত করছে যে অন্তত একজন দলিত, একজন মহিলা এবং একজন জনজাতি এই উদ্যোগের ফলে উপকৃত হচ্ছেন।  

ডাঃ সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুবদের বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন নতুনত্ব ও নতুন সুযোগ ছাড়া দেশে কোনও প্রবৃদ্ধি হতে পারে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সর্বদা বলেছেন যে আমাদের প্রধান মানব সম্পদ যুবরা। যদি যুবদের বিকাশ করা হয় তবে দেশ বিকশিত হবে। ভবিষ্যতে, আমাদের অসংখ্য স্টার্টআপ পলিসি এই প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করবে। 

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী প্রণজিত সিংহ রায়, মুখ্যসচিব জিতেন্দ্র কুমার সিনহা, তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে সহ অন্যান্য পদাধিকারীগণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *