বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য
আগরতলা, ২৩ জানুয়ারি: লঙ্গাই ভ্যালিতে বনজ সম্পদ পাচারের দৌরাত্ম চরমে উঠেছে। এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে বনজ সম্পদের পাশাপাশি বন্যপ্রাণীও বিলুপ্তির মুখে। অভিযোগ উঠেছে যে, বন কর্মচারীদের সঙ্গে পাচারকারীদের যোগসাজশের কারণে দিনের পর দিন বনাঞ্চল খালি হয়ে যাচ্ছে।
গভীর বনাঞ্চল ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় খাদ্যের সন্ধানে বন্যপ্রাণীরা সমতলে নামছে এবং শিকারীদের সহজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। এক সময় লঙ্গাই ভ্যালিতে প্রচুর পরিমাণে বন্যপ্রাণী দেখা যেত, কিন্তু আজ আর সেই দৃশ্য চোখে পড়ে না।
পশু শিকারীরা শিকার করে আসাম, মিজোরাম, ধর্মনগর, পানিসাগর, রৌয়া সহ পার্শ্ববর্তী বাজারগুলিতে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে বন্যপ্রাণী ও পাখি প্রায় লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এক দশক আগে এই বনাঞ্চলে রং বেরঙের পাখি এবং ঝাঁকে ঝাঁকে বালিহাঁস দেখা যেত। কিন্তু আজ সেই সব দৃশ্য বিলুপ্তির মুখে।
জঙ্গলে হরিণ, বন্য শূকর, খরগোশ প্রচুর দেখা যেত। কিন্তু অতিরিক্ত শিকারের ফলে বন্য শূকর প্রায় লুপ্ত হয়ে গেছে এবং বন্য হরিণও বিপন্ন। আশ্চর্যের বিষয় হল, বন্যপ্রাণী নিধনের বিরুদ্ধে বন দপ্তরের কোনও উদ্যোগ নেই। বরং, বন দপ্তরের একাংশ অসাধু কর্মচারীদের সঙ্গে নিধনকারীদের মিতালির সম্পর্ক স্পষ্ট।
পাচারকারী ও অসাধু বন কর্মচারীদের মিতালীর কারণে লঙ্গাই ভ্যালির সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংসের মুখে। এই পরিস্থিতি চরম উদ্বেগের।