আগরতলা, ১৬ জানুয়ারী : রক্তদান মানবতার শ্রেষ্ঠ দান।আজ আগরতলা রামঠাকুর মহাবিদ্যালয়ে আয়োজিত এক রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করি ও মহাবিদ্যালয় পরিসরে নবনির্মিত প্রমোদ মুক্ত মঞ্চের উদ্ভোধনঅনুষ্ঠানে একথা বলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এদিন তিনি মহাবিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রী সহ বিশেষ করে যারা এই রক্তদানের মতো মহতি কাজে এগিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এদিন শ্রী চৌধুরী বলেন, আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনে অডিটোরিয়ামের সংস্কারের প্রস্তাবনা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য শিক্ষা দফতরে ডিরেক্টরকে নির্দেশ দেব। তাছাড়া, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. মানিক সাহার সাথেও এই বিষয়ে আলোচনা করব। অডিটোরিয়ামটি সম্পূর্ণ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত নবনির্মিত মুক্তমঞ্চের সামনে একটি শেড নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
তাঁর কথায়, শেডের নির্মাণ কাজ ত্বরান্বিত করতে তিনি এবং বিধায়ক মিনা রানী সরকার তাদের নিজ নিজ বিধায়ক তহবিল থেকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।তিনি বলেন, মীনা রানী সরকার এবং আমি আগামী ৬-৭ মাসের মধ্যে এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে সংশ্লিষ্ট এসডিএমদের সাথে কথা বলবেন।
এদিন তিনি বলেন, ওই প্রকল্পে আনুমানিক ব্যয় ছিল ৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল, কিন্তু মুদ্রাস্ফীতির কারণে তা এখন ২০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। প্রকল্পটি শেষ হতে ২-৩ বছর সময় লাগবে। ইতিমধ্যে, শেডটি একটি অস্থায়ী কিন্তু কার্যকর সমাধান হিসাবে কাজ করবে। এদিন তিনি আরো বলেন, রক্তদান জীবনের একটি উপহার।” “শিক্ষার্থী এবং অনুষদের সদস্যদের স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসতে দেখে আনন্দিত হয়। এটি সমাজের প্রতি তাদের দায়িত্ববোধকে প্রতিফলিত করে। স্বামী বিবেকানন্দ যেমন বলেছিলেন, ‘মানুষের সেবাই ঈশ্বরের সেবা।’ আমরা অন্যদের খুশি করতে পারি এবং পরিবর্তে, ঈশ্বরের সেবা করতে পারি,” তিনি যোগ করেন।সম্ভবত রাজ্যে প্রথমবারের মতো রামঠাকুর কলেজের ১৬ জন সহযোগী অধ্যাপক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রমোদ রঞ্জন ভট্ট চৌধুরীকে আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাতে একত্রিত হয়েছেন। এদিন মুক্তমঞ্চের সামনে শেড নির্মাণ করার জন্য আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন তাঁরা। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ মোট ৪৬ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন।
এদিন তিনি আরো বলেন, শিক্ষা জগতে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রমোদ রঞ্জন ভট্ট চৌধুরী অবদান চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মানুষ হয়তো চিরদিন থাকবে না, কিন্তু তাদের স্মৃতি ও কর্ম থেকে যাবে। মহান ব্যক্তিদের দেখানো পথ অনুসরণ করা এবং মূল্যবোধের উত্তরাধিকার পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া আমাদের কর্তব্য।