চণ্ডীগড়, ৩০ ডিসেম্বর (হি.স.): পঞ্জাবে কৃষকদের ধর্মঘটের প্রভাব পড়লো ট্রেন পরিষেবাতেও। সোমবার পঞ্জাবের বিভিন্ন জেলায় কৃষকরা টোল প্লাজা এবং প্রধান সড়কগুলোয় বসে অবরোধ করেন। রেললাইনে কৃষকরা বসে পড়ায় বন্দে ভারত সহ ১৬৩টি ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। প্রায় নয় ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ অবরোধ করেন কৃষকরা। বনধকে সর্বাত্মক ঘোষণা করে আন্দোলন আরও তীব্র করার ঘোষণা করেছে কৃষক সংগঠন।
জানা গেছে, সোমবার সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পঞ্জাবের প্রায় ১৫০টি জায়গায় হাইওয়ে এবং রেললাইনে বসেছিলেন কৃষকরা। এর ফলে অমৃতসর-জলন্ধর-পানিপথ-দিল্লি এবং অমৃতসর-জম্মুতে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের বনধকে সফল বলে উল্লেখ করে বলেন যে, আমরা কাউকে দোকান বন্ধ করতে বাধ্য করিনি। বিভিন্ন সংগঠনের সমর্থন পেয়েছি। পেট্রোল পাম্প, গ্যাস এজেন্সিও এদিন বন্ধ ছিল। কৃষকরা মন্ডিতে সবজি আনেননি এবং অনেক জেলায় দুধ বিক্রেতারাও দুধ সরবরাহ করেননি। অনেক কর্মচারী সংগঠন ও মহিলা সংগঠনও এদিনের আন্দোলনে কৃষকদের সমর্থন দিয়েছে। তবে রাজ্যের কোথাও জরুরি পরিষেবা ব্যাহত হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) আইনি গ্যারান্টি-সহ একগুচ্ছ দাবিতে কৃষক সংগঠনগুলির ডাকে বনধ হয়। বন্দে ভারত এবং শতাব্দী-সহ বহু ট্রেন বাতিল করা হয়, পাশাপাশি বেসরকারি বাস পরিবহনকারীরাও বনধে যোগ দিয়েছে। কৃষক নেতা জগজিৎ সিং ডালেওয়ালের সমর্থনে বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে, যিনি কৃষকদের দাবিগুলি বাস্তবায়নের জন্য এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অনশন করছেন।