নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২৯ ডিসেম্বর:
আগরতলা থেকে ধর্মনগরগামী দ্রুতগতি সম্পন্ন রেলের ধাক্কায় মৃতপ্রায় বন্যদাঁতাল হাতি। রেলের ধাক্কায় সেই হাতির কোমর এবং পেছনের পায়ে গুরুত্বর আঘাত লাগে। ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তরের অধীন মহারানীপুর কপালিটিলাস্থিত শালবাগান রেল রাস্তা সংলগ্ন গভীর বনাঞ্চলে।
আগরতলা থেকে ধর্মনগরগামী দ্রুতগতি রেল তেলিয়ামুড়া রেলস্টেশন হয়ে আমবাসার অভিমুখে যাবার পথে তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তরের অধীন মহারানীপুর কপালি টিলাস্থিত শালবাগান এলাকায় রেল পারাপারের সময় একটি বণ্য দাঁতাল হাতিকে সজোড়ে ধাক্কা দেয় ওই যাত্রীবাহী রেল। এতে ওই দৈত্যাকৃতির হাতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়। দীর্ঘক্ষন রাস্তার পাশে পড়ে ছটফট করতে থাকে এই বন্য হাতিটি।
পরবর্তীতে ঘটনার খবর পৌঁছায় তেলিয়ামুড়া বণ বিভাগের কর্মীরা। তেলিয়ামুড়া বণ বিভাগের কর্মীরা ঘটনার খবর পেয়ে একজন পশু চিকিৎসক নিয়ে ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি পৌঁছায়। সেখানে পৌঁছে বণ্য দাঁতাল হাতির চিকিৎসা শুরু করে প্রাথমিক পর্যায়ে। বর্তমানে বন্য দাঁতাল হাতি রেল রাস্তার পাশ থেকে হামাগুড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে।
এ বিষয় নিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খোয়াই জেলা বন আধিকারিক আই.এফ.এস অক্ষয় বালোভদ্রে সরাসরি রেল দপ্তরের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন। উনার বক্তব্য, তেলিয়ামুড়া থেকে মুঙ্গিয়াকামী রেল স্টেশন পর্যন্ত যেহেতু বনাঞ্চল রয়েছে এবং সেই বনাঞ্চল গুলি বন্য দাঁতাল হাতির বিচরণ ভূমি সেই বিষয়কে মাথায় রেখে এই দুই স্টেশন অতিক্রম করার জন্য রেলের গতি কমানোর কথাও রেল দপ্তর ওয়াকি বহাল রয়েছে। তবে শনিবার রাতে যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে এতে রেলের গতি ছিল প্রচন্ড বেশি। তার জন্য অবশ্য লোকো পাইল্টের খামখেয়ালীপনার অভিযোগও করেছেন তিনি। তবে বর্তমানে হাতির অবস্থা স্থিতিশীল। যদিও রবিবার সকালে পশু চিকিৎসকের একটি দল ওই এলাকায় পৌঁছে পুনরায় হাতিকে সুস্থ করার উদ্দেশ্যে চিকিৎসা শুরু করে বলে খবর।