নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ ডিসেম্বর:
সমবায়কে সামনে রেখে রাজ্যের জিএসডিপি এবং গড় মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজ্য সরকার কাজ করছে। রবিবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে অনুষ্ঠিত সমবায় সম্মেলন – ২০২৪ অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে রাজ্যের জিএসডিপি ৮.৯ শতাংশ এবং গড় মাথাপিছু আয় হচ্ছে ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ৭৭৩ টাকা। যা ২০২৩ সালের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। জিএসডিপি ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে উত্তর- পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সঙ্গে আমাদের রাজ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এরজন্য সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত সকলকে আরও পরিশ্রম করতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে আজকের এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের সমবায়কে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিক নির্দেশিকা পাওয়া যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, রাজ্যের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভিলেজ কাউন্সিল এলাকায় একটি করে দুগ্ধ ও মৎস্য সমবায় গঠন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সমবায় দপ্তর কাজ করছে। এছাড়াও আগামী পাঁচবছরে রাজ্যে ৭৪১টি বহুমুখী প্যাকস এবং ২১৯টি দুগ্ধ ও মৎস্য সমবায় গঠন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এরফলে গ্রামীণ এলাকার অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী যেমন হবে তেমনি কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনানুসারে রাজ্যের প্রতিটি ল্যাম্পস ও প্যাক্সে কম্পিউটার প্রদান করা হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত প্যাক্সগুলোকে জাতীয় ডাটাবেসে আনার কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে। ল্যাম্পস ও প্যাক্সগুলোতে ই-পরিষেবা আরও ভালভাবে প্রদানের লক্ষ্যে কমন সার্ভিস সেন্টারগুলোকে সমবায়ের মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও পেট্রোলপাম্প খোলার জন্যও প্যাক্সগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের সমবায় সমিতিগুলিকে আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে আয়কর ছাড় দেওয়ার বিষয়েও রাজ্য সরকার চিন্তা ভাবনা করছে। পাশাপাশি সমবায় সমিতিগুলির পরিকাঠামোর উন্নয়নেও সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে।