আগরতলা, ২১ ডিসেম্বর : অসহায় মহিলার বাড়ি জোরপূর্বক ভেঙ্গে দিয়ে ঘরে থাকা নগদ অর্থ ছিনতাই সহ শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টা করে বাধারঘাট এলাকার এক দুষ্কৃতী। তাঁর বিরুদ্ধে আমতলী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেশের মহিলাদের সম্মান প্রদানে যে ভূমিকা পালন করছে তা একেবারে ধুলিস্যাৎ করে দিচ্ছে রাজ্যে একাংশ শাসকদলের নামধারী গুন্ডাবাহিনী। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে বাধারঘাট মাতৃপল্লী এলাকায়। ওই এলাকার এক মহিলার বাড়িঘর ভেঙ্গে, তাঁকে মারধর করে বাড়ির জায়গা দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করে এলাকার এক প্রভাবশালী দুষ্কৃতিকারী।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, আমতলী থানার অন্তর্গত বাধারঘাট মাতৃপল্লী এলাকায় কল্পনা সরকার নিজের বৃদ্ধা মা সুমতি সরকারকে নিয়ে অনেক বছর ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছিল।
ওই মহিলার বসতবাড়ি সহ জায়গার উপর এলাকার বাউল চানাচুর কোম্পানির মালিক উত্তম বাউলের নজর পড়ে। বহুদিন ধরেই ওই মহিলার বাড়ি দখলের জন্য উত্তম বাউল বিভিন্নভাবে তাদের উপর অত্যাচার চালিয়ে আসছিল।
তখন ওই মহিলা উত্তমের বিরুদ্ধে আমতলি থানায় মামলা করেছিলেন। পরে এলাকার মাতব্বরদের নিয়ে মীমাংসা সভাও করা হয়। সভায় অভিযুক্ত উত্তম বাউল নিজের ভুল স্বীকার করে কিছুদিন ভালোভাবে থাকার পর আবারও জায়গা দখল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে।
এদিকে, গত শনিবার উত্তম বাউল এবং ইন্দ্র আচার্য ওই মহিলার বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে মারধোর করে এবং মহিলার পরিধেয় জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে। এরপর মহিলাকে মুখ বেঁধে শ্লীলতাহানির এবং ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছে বলে জানান নির্যাতিতা মহিলা।
এই সময়, বৃদ্ধা মা মেয়ের চিৎকার শুনে ঘরে আসেন। তখন ওই বৃদ্ধা মহিলাকেও মারধর করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিকারী উত্তম বাউল এবং ইন্দ্র আচার্য।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার সকালে উত্তম বাউলের ঘনিষ্ঠ তনুশ্রী আচার্য এবং রত্না বাউল ওই মহিলার বাড়িতে এসে তাঁকে বেধড়কভাবে মারধর করে। পাশাপাশি দুষ্কৃতিকারী উত্তম বাউল সহ অন্যান্য দুষ্কৃতিকারীরা ওই মহিলার ঘর ভেঙ্গে দিয়ে ঘরে থাকা মহিলার কিছু স্বর্ণালংকার সহ নগদ ১৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ।
নির্যাতিতা অসহায় মহিলাটি দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ এই বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেবে সেই এখন দেখার বিষয়।