আগরতলা, ১১ ডিসেম্বর: কেন্দ্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়, একলব্য পরিসরে আজ ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং তারিখে ভারতীয় ভাষা উৎসব প্রতিপালিত হয়। কেন্দ্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি পরিসরের পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ অন্যান্য আদর্শ মহাবিদ্যালয় সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত হয়। কেন্দ্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি বছর ১১ই ডিসেম্বর এদিনটিতে ভারতের সমৃদ্ধ ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উদযাপন করে থাকে এবং দেশের বৈচিত্র্যময় ভাষা ও সংস্কৃতিকে ভারতীয় ভাষা উৎসব নামে প্রতিপালন করে আসছে। একলব্য পরিসরে অনুষ্ঠানটি বিকেল ৪.০০ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ড. মিলন রানী জমাতিয়া (হিন্দি বিভাগ, ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়) এবং ড. মলয় দেব, (সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়) সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। বৈদিক মঙ্গলাচরণ ও লৌকিকামঙ্গলাচরণ, পরিসরের ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা সুন্দরভাবে উপস্থাপিত করা হয় এবং ক্রমান্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কুলগীতও উপস্থাপিত হয়। একলব্য ক্যাম্পাসের নির্দেশক অধ্যাপক প্রভাত কুমার মহাপাত্র মহোদয় স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন, তিনি ভারতের ভাষাগত বৈচিত্রতা এবং ভাষার তাৎপর্য তাঁর ভাষণে তুলে ধরেন। এছাড়া, প্রফেসর মদন মোহন ঝা মহোদয় (কেন্দ্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়, নয়াদিল্লির ডিন (একাডেমিক অ্যাফেয়ার্স)) আঞ্চলিক ভাষার সংরক্ষণ ও প্রচারের বিষয়ে অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ বক্তৃতা প্রদান করেন। এই অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মলয় দেব
বাংলা ভাষার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অবদানের উপর গুরুত্বারোপ করেন। অন্যদিকে প্রধান অতিথি, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দি বিভাগের প্রধান প্রফেসর মিলন রানী জামাতিয়া, জাতীয় সংহতিকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে ভাষাগত বৈচিত্র্যের ভূমিকা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। কেন্দ্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি পরিসরের আঞ্চলিক ভাষা /ভারতীয় অফিসিয়াল ভাষা, ভারতবর্ষের প্রতিটি রাজ্যে বিদ্যমান যেমন ডোগরি ভাষা (শ্রী রণবীর ক্যাম্পাস, জম্মু), পাঞ্জাবি ভাষা (শ্রী বেদব্যাস ক্যাম্পাস, বালাহার), মৈথিলি ভাষা (শ্রী রঘুনাথকীর্তি ক্যাম্পাস, দেবপ্রয়াগ), গুজরাটি ভাষা (জয়পুর ক্যাম্পাস, জয়পুর), ওড়িয়া ভাষা (শ্রী সদাশিব ক্যাম্পাস, পুরী), মারাঠি ভাষা (নাসিক ক্যাম্পাস, মুম্বাই), ভোজপুরি ভাষা (লখনউ ক্যাম্পাস, লখনউ), হিন্দি ভাষা (গঙ্গানাথ ঝা ক্যাম্পাস, প্রয়াগরাজ), সংস্কৃত ভাষা (ভোপাল ক্যাম্পাস, ভোপাল), মালায়ালাম ভাষা (গুরুবায়ু ক্যাম্পাস, ত্রিশুর), কন্নড় এবং তামিল ভাষা (রাজীব গান্ধী ক্যাম্পাস, শৃঙ্গেরি), বাংলা, তেলুগু এবং অসমীয়া ভাষা (একলব্য ক্যাম্পাস, আগরতলা)। এছাড়াও, একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় যাতে বিহু নৃত্য, ককবরক নাচ, বাংলা নাচ, একলব্য ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের দ্বারা প্রদর্শিত হয়। এছাড়া বাংলা ও ককবরক গানের উপস্থাপনা অনুষ্ঠানটিতে একটি প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক মাত্রা যোগ করে। প্রফেসর শ্রীনিবাস বরখেডি, কেন্দ্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য, ভার্চুয়ালভাবে সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন, সংস্কৃত এবং আঞ্চলিক ভাষার প্রচারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার উপর জোর দিয়েছিলেন। বুদ্ধদর্শণ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক অবধেশ কুমার চৌবে মহোদয় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।