BRAKING NEWS

দুইশো পরিবারের মানুষের যাতায়াতে ব্যবহৃত রাস্তা কেটে নেওয়ার অভিযোগ চা বাগানের মালিকের বিরুদ্ধে

আগরতলা, ২২ নভেম্বর : নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য প্রায় দুইশো পরিবারের মানুষের যাতায়াতে ব্যবহৃত একমাত্র রাস্তা কেটে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল হীরাছড়া চা বাগানের মালিকের বিরুদ্ধে। রাস্তা ছোট হয়ে হওয়ায় যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে গ্রামের সাধারণ মানুষের।

ঘটনাটি কৈলাসহরের গৌরনগর ব্লকের অধীন্থ হীরাছড়া এডিসি ভিলেজ এলাকার। গ্রামের সাধারণ জনগণের ছোট রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ছোটো বড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অন্যদিকে, রাস্তা কেটে দেওয়ায় ফলে গ্রামে প্রয়োজন ছোট বা বড় কোনো ধরনের গাড়িও প্রবেশ করতে পারছে না। এই নিয়ে গোটা গ্রামে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

হীরাছড়া এডিসি ভিলেজের চার নং ওয়ার্ডের উরাং কলোনির একশো শতাংশ গ্রামবাসীই উরাং সম্প্রদায়ের। এরা সকলেই চা বাগান শ্রমিক। উরাং কলোনির পাশে থাকা হীরাছড়া চা বাগানের কাজ করার মধ্য দিয়ে এদের পরিবার চলে। এদের যাতায়াতের জন্য গ্রামে একটি মাত্র ইটসলিং রাস্তা ছিল, যা আট ফুট প্রশস্ত থাকায় চলাফেরা করতে সুবিধা হত।

গ্রামবাসীরা জানান, বিগত কয়েক মাস পূর্বে স্থানীয় হীরাছড়া চা বাগানের মালিক নিজের সুবিধার জন্য গ্রামের কাউকে না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে ড্রেনকে বড় করতে রাস্তাটিকে ড্রজার দিয়ে কেটে দুই ফুট করে দিয়েছেন। এতে গ্রামের মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিলে বাগান মালিক উরাং কলোনির মানুষদের জাতপাত নিয়ে নোংরা কথাবার্তা বলেন এবং গালিগালাজও করেন বলেও জানায় গ্রামবাসীরা।

বর্তমানে গ্রামের একমাত্র রাস্তাটি ছোট হয়ে যাওয়ায় সেদিকে চলাফেরা করা যাচ্ছে না। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাবার সময়ও সমস্যাও সম্মুখীন হচ্ছে। গ্রামে কোনো অসুস্থ রোগী থাকলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য এম্বুলেন্স ঢুকতে পারছে না। এই সমস্যার কথা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রকাশ করে গ্রামবাসীরা।

কয়েকবার চা বাগান মালিকের কাছে গিয়ে রাস্তা পুনরায় নির্মান করে দেবার কথা বললেও চা বাগান মালিক গ্রামবাসীদের কথা যেন কানেই নিচ্ছেন না।

গ্রামবাসীরা জানায়, বাগান মালিক তাদের হুমকি দিয়ে জানিয়েছেন তাঁরা এই গ্রাম ছেড়ে যেন অন্যত্র চলে যান। চা বাগান মালিকের এই কথায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসী। এখন দেখার বিষয় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয় কিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *