আগরতলা, ২২ নভেম্বর: সরকারের কাছে সারের দাম কমানোর দাবি জানালো কৃষকরা। ঘটনাটি চড়িলাম ব্লকের উত্তর চড়িলাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ফকিরা মুড়া এলাকায় শুক্রবার সকালে।
চড়িলাম ব্লকের উত্তর চড়িলাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ফকিরা মুড়া এলাকায় কৃষকদের রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পাতা সবজির ক্ষেত এবং ধানি জমির ক্ষেত। বলতে গেলে পাতা সবজির জন্য বিখ্যাত এই ফকিরা মুড়া এলাকা। কিছুদিন পূর্বের বিধ্বংসী বন্যা এবং শিলাবৃষ্টিতে এই এলাকার কৃষকদের সমস্ত পাতা সবজি এবং ধানি জমি নষ্ট হয়ে যায়। ভীষণভাবে চিন্তিত এই এলাকার কৃষকরা কি করে তারা আবার ঘুরে দাঁড়াবে। ধার দেনা করে পাতা সব্জি এবং ধানি জমি চাষ করেছিল।
সমস্ত কিছু ধ্বংস হয়ে যায় বন্যায় এবং শিলাবৃষ্টিতে। তারপরেও কৃষকরা আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু পাশে নেই সরকার। কৃষকদের অভিযোগ এগ্রিকালচার অফিস থেকে সার কিনতে গেলে অনেক দাম। অথচ খোলা বাজারে সারের দাম এগ্রিকালচার থেকে কম। তাহলে সরকার কিভাবে সাহায্য করছে কৃষকদের কৃষি ও কৃষি কল্যাণ দপ্তরের মাধ্যমে সেটাই তো বুঝতে পারছি না আমরা__ঠিক এভাবেই ফসলের মাঠে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করলেন কৃষক ফারুক মিয়া কৃষক বাহাদুর মিহা সহ আরো অনেকে। তারা আরো বলেন সরকার রেশনে ভর্তুকির মাধ্যমে বিভিন্ন সামগ্রী দিচ্ছে। যার ফলে মানুষ খোলা বাজারে না গিয়ে রেশনে যাচ্ছে। আর কৃষি ও কৃষি কল্যাণ দপ্তরে বইছে উল্টো স্রোত। হিসেবে কৃষি ও কৃষি কল্যাণ দপ্তরে সারের দাম কম থাকার কথা খোলা বাজার থেকে। কিন্তু খোলা বাজার থেকে এগ্রিকালচার দপ্তরে সারের দাম অনেক বেশি। যেমন সুপার ফসফেট এগ্রিকালচার দপ্তর থেকে কিনতে গেলে বস্তা পিছু ৬৫০ টাকা দিতে হয়। আর খোলা বাজার থেকে কিনলে ৬২০ অথবা ৬৩০ টাকা দিয়ে পাওয়া যায়। তাহলে কৃষক কেন যাবে এগ্রিকালচারে?? ঠিক এভাবেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে ফসলের মাঠে দাঁড়িয়ে এই প্রশ্ন তুললেন কৃষকরা।
তারা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যাতে সরকার কৃষি ও কৃষি কল্যাণ দপ্তরে র মাধ্যমে কম দামে কৃষকদের চাষবাসের জন্য সারের ব্যবস্থা করে। না হলে একটা সময় দেখা যাবে কৃষকরা কৃষি ও কৃষি কল্যাণ দপ্তরে যাওয়াই ছেড়ে দেবে। কৃষকদের আয় যদি দ্বিগুণ করতে হয় তাহলে কৃষি ও কৃষি কল্যাণ দপ্তরের মাধ্যমে কৃষকদের কম দামে করতে হবে সারের ব্যবস্থা এমনটাই দাবি ফকিরামুড়া এলাকার কৃষকদের।