আগরতলা, ২১ নভেম্বর: আগামী ২৬ শে নভেম্বরের ঐতিহাসিক দিনকে সামনে রেখে রাজ্যেও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিআইটিইউ এবং সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ত্রিপুরা শাখার যৌথ উদ্যোগে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।
কর্মসূচি সম্পর্কে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর বলেন, ২৬ শে নভেম্বর ২০২০ সালে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল। এরই চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আগামী ২৬শে নভেম্বর ২০২৪, গোটা দেশের সাথে রাজ্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এই উপলক্ষে গোটা দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তার লক্ষ্যে ‘চেতাবনী জমায়েত’ অনুষ্ঠিত হবে। যার মাধ্যমে তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে। তিন মাসের ভেতর শ্রমিক কৃষকদের অপূর্ণ দাবি গুলি পূরণের লক্ষ্যে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ না করলে আরো বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান তিনি।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিআইটিইউ রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শংকর প্রসাদ দত্ত বলেন, মূলত শ্রমিক এবং কৃষকদের স্বার্থ সম্বলিত বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই আন্দোলন সংঘটিত করা হচ্ছে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারকে তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে। তার মধ্যেই শ্রমিকদের এবং কৃষকদের বিভিন্ন দাবি পূরণে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের কোণঠাসা করতে ২৯ টি শ্রম আইন বাতিল করে চারটি শ্রমকোড তৈরি করা হয়েছে। তার মাধ্যমে আট ঘন্টা কাজ সহ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির দাবি বিঘ্নিত করছে মালিক পক্ষ। তাই ৮ ঘন্টা কাজ, শ্রমিকদের ন্যূনতম ২৬ হাজার টাকা বেতন, এবং ৬০ বছরের পরে ১০ হাজার টাকা পেনশন প্রদানের দাবি জানানো হচ্ছে। এই দাবিগুলি পূরণের লক্ষ্যে দেশের পাশাপাশি রাজ্যব্যাপী সিআইটিইউ এবং সংযুক্ত কিষান মোর্চার যৌথ উদ্যোগে আগামী ২৬শে নভেম্বর কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।