কলকাতা, ১৬ নভেম্বর (হি.স.): ফুটবল ভালোবাসে, আর পুসকাসকে চেনে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুরুহ। হাঙ্গেরি ফুটবলের সোনালী প্রজন্মের মহানায়ক পুসকাস ছিলেন বুদাপেস্ট -রিয়াল মাদ্রিদ এর সফল স্ট্রাইকার। ২০০৬ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি না ফেরার দেশে চলে গেলেও দারুণ সব কীর্তি গড়া এই হাঙ্গেরিয়ান অমর থাকবেন ফুটবল ইতিহাসে। ১৯২৭ সালের পহেলা এপ্রিল জন্ম নেওয়া পুসকাসকে সবাই স্মরণ করবেন শ্রদ্ধা ভরে।
এই হাঙ্গেরিয়ান যিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় এবং ক্রীড়ার প্রথম আন্তর্জাতিক সুপারস্টার হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন। তিনি একজন ফরোয়ার্ড এবং আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার ছিলেন। তিনি হাঙ্গেরির হয়ে ৮৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নিয়ে ৮৪টি গোল করেছিলেন। তিনি ১৯৫২ সালে অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন এবং ১৯৫৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে হাঙ্গেরিকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি তিনটি ইউরোপিয়ান কাপ (১৯৫৯, ১৯৬০,১৯৬৬), দশটি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ (পাঁচটি হাঙ্গেরিয়ান এবং পাঁচটি স্প্যানিশ প্রাইমার ডিভিসিয়ন ) এবং আটটি সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোরিং সম্মান জিতেছেন । তার ক্যারিয়ারে ৭৯৩টি অফিসিয়াল গেমে ৮০৬ গোল করেছেন। এছাড়া এই কিংবদন্তি রয়েছে অসংখ্য রেকর্ড যা বলে শেষ করা যাবে না।
১৯৬১ সালে স্প্যানিশ নাগরিক হওয়ার পর, পুসকাস ১৯৬২তে বিশ্বকাপে স্পেনের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন, কিন্তু তিনি চারটি ম্যাচে খেলে একটি গোল করতে পারেন নি। তিনি ১৯৬৬ সালে খেলা থেকে অবসর নেন এবং বেশ কয়েক বছর কোচ হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৩ সালে পুসকাস তার দেশ বুদাপেস্টে ফিরে আসেন।১৯৯৮ সালে, তিনি প্রথম ফিফা/এসওএস চ্যারিটি অ্যাম্বাসেডরদের একজন হয়েছিলেন। ২০০২ সালে, বুদাপেস্টে নেপস্ট্যাডিয়নকে তার সম্মানে পুস্কাস ফেরেঙ্ক স্টেডিয়ান নামকরণ করা হয়।নভেম্বর ২০০৩ সালে উয়েফা জুবিলি অ্যাওয়ার্ডে হাঙ্গেরিয়ান ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃক গত ৫০ বছরের সেরা হাঙ্গেরিয়ান খেলোয়াড় হিসেবেও তাকে ঘোষণা করা হয়। তিনি পেলের ফিফা ১০০-তেও তালিকাভুক্ত ছিলেন ।