শিলচর (অসম), ১৬ নভেম্বর (হি.স.) : মণিপুরের জিরিবাম জেলার অন্তর্গত বড়বেকরা মহকুমাধীন জাকুরাধর করোং-এ নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ধরাশায়ী ১০ সশস্ত্র জঙ্গির ময়না তদন্ত শেষে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (এসএমসিএইচ)-এর মর্গ চত্বরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেছে কুকি তথা মার জনগোষ্ঠীয় মানুষ।
আজ শনিবার ১০ জঙ্গির মৃতদেহ চপারে করে কাছাড় জেলার অন্তর্গত মাসিমপুরে ভারতীয় সেনা বাহিনীর ছাউনিতে নিয়ে না যাওয়ার দাবিতে মার অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে কাতারে কাতারে স্বগোষ্ঠীর মানুষ এসএমসিএইচ-এ মর্গের সামনে জমায়েত হন। পুলিশ তাদের বাধা দিতে গেলে প্রথমে ঠেলাধাক্কা, পরে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এক সময় শুরু হয় পুলিশের ওপর পাথরবৃষ্টি। উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে সিআরপিএফ-এর দল নিয়ে ছুটে আসেন সাউদাৰ্ন রেঞ্জের ডিআইজি কঙ্কনজ্যোতি শইকিয়া এবং পুলিশ সুপার নোমাল মাহাতো। দুই পুলিশ আধিকারিক মার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তারা দাবি করেন, মৃতদেহগুলি চপারে নয়, সড়কপথে নিয়ে যেতে হবে। পুলিশের কর্মকর্তারা তাদের এই দাবি নাকচ করে দিলে মার-রা আরেক দাবি তুলে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের কাছে লিখিত আশ্বাসের দাবি করে বলে, মৃতদেহগুলি ইমফলে নিয়ে যাওয়া যাবে না, চূড়াচাঁদপুরে (মণিপুর) নিয়ে যেতে হবে।
পুলিশ সুপার নোমাল মাহাতে তাদের এই দাবি পালনে অক্ষমতা প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের কোনও লিখিত আশ্বাস দেওয়ার অধিকার বা ক্ষমতা কাছাড় পুলিশের নেই। কেননা, বিষয়টি কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং মণিপুর পুলিশের এক্তিয়ারভুক্ত।
তখন মার অ্যাসোসিয়েশনের জনৈক মহিলা পদাধিকারী বলেন, জিরিবামের অতিরিক্ত এসপি থমাস লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ওই দশটি দেহ চূড়াচাঁদপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। মণিপুর পুলিশ বা সিআরপিএফ-এর হেলিকপ্টারে নিয়ে যাওয়া হবে না।
এভাবে বহুক্ষণ কথাবাৰ্তা চলে। পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে আসে। এর পর দশ জঙ্গির মৃতদেহ কফিনবন্দি করা হয়।
উল্লেখ্য, জিরিবাম জেলার অন্তৰ্গত বড়বেকরা থানা এবং সিআরপিএফ পোস্ট সংলগ্ন জাকুরাধর করোং-এ গত সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকালে যৌখ নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র কথিত কুকি জঙ্গিদের বন্দুকযুদ্ধে ধরাশায়ী হয়েছিল দশ সশস্ত্র জঙ্গি।