নয়াদিল্লি, ১৩ নভেম্বর : আজ বিহারের দ্বারভাঙ্গায় ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বাস্থ্য, রেল, সড়ক, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রে অধীনে এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সূচনা করা হচ্ছে।
এই উপলক্ষ্যে, সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডে ভোটগ্রহণ চলছে এবং রাজ্যের মানুষ বিকশিত ভারতের পক্ষে ভোট দিচ্ছেন। ঝাড়খন্ডের নাগরিকদের বিপুল সংখ্যায় ভোটদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত শারদা সিনহার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন এবং সঙ্গীতে বিশেষ করে ছট মহাপর্বের রচনায় তাঁর অতুলনীয় অবদানের প্রশংসা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন, সমগ্র ভারত সহ বিহার উন্নয়নের প্রধান প্রধান লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করছে। তিনি আরও বলেন, অতীতে প্রকল্পগুলি শুধুমাত্র কাগজে-কলমে থাকত, আজ তা বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি উচ্ছ্বাসের সাথে বলেন, “আমরা বিকশিত ভারতের দিকে অবিচলভাবে এগিয়ে চলেছি। আমাদের বর্তমান প্রজন্ম বিকশিত ভারতের সাক্ষী হওয়ার পাশাপাশি, এই লক্ষ্য পূরণে অবদান রাখার সৌভাগ্য অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷
জনসাধারণের কল্যাণ এবং জাতির সেবার প্রতি তাঁর সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনরায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সে রাজ্যের সড়ক, রেল ও গ্যাস পরিকাঠামো সহ প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। শ্রী মোদী বলেন, দ্বারভাঙ্গায় এইমস-এর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যা বিহারের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গ এবং নিকটবর্তী অঞ্চলগুলি ছাড়াও মিথিলা, কোসি এবং তিরহুত অঞ্চলগুলি এর ফলে উপকৃত হবে৷ পাশাপাশি নেপাল থেকে ভারতে আসা রোগীদের পরিষেবাও দেওয়া হবে। কর্মসংস্থান ও স্বনিযুক্তির একাধিক নতুন সুযোগও সৃষ্টি করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী আজকের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির জন্য মিথিলা, দ্বারভাঙ্গা এবং সমগ্র বিহারের জনগণকে অভিনন্দন জানান।
ভারতের জনসংখ্যার সর্বোচ্চ অংশ দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই শ্রেণীর লোকেরা বিভিন্ন রোগে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হন৷ যার ফলে চিকিৎসার জন্য বিপুল ব্যয় হয়। শ্রী মোদী বলেন, পরিবারের কারও অসুস্থতা হলে গোটা পরিবার কীভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সে সম্পর্কে তিনি ভালোভাবেই অবগত আছেন। তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল ও চিকিৎসকের অভাব, অতিরিক্ত মূল্যের ওষুধ এবং কম রোগ নির্ণয় ও গবেষণা কেন্দ্রের কারণে চিকিৎসা পরিকাঠামোর অবস্থা অতীতে খুব খারাপ ছিল। শ্রী মোদী বলেন, দুর্বল স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং দরিদ্র মানুষের অসুবিধার কারণে দেশের অগ্রগতি থমকে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, তাই পুরনো চিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি বদলে ফেলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সরকারের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সরকারের দৃষ্টি নিবদ্ধ করার ক্ষেত্রগুলির রূপরেখা তুলে ধরে বলেন, এর প্রথম লক্ষ্য হ’ল রোগ থেকে প্রতিরোধ; দ্বিতীয়ত, রোগের সঠিক নির্ণয়; তৃতীয়ত, বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধের সহজলভ্যতা; চতুর্থত, ছোট শহরগুলোকে উন্নত চিকিৎসা সুবিধা গড়ে তোলা; এবং পঞ্চমত, স্বাস্থ্য খাতে প্রযুক্তির সম্প্রসারণ।
শ্রী মোদী যোগ, আয়ুর্বেদ, পুষ্টিগুণ, ফিট ইন্ডিয়া আন্দোলনের ওপর সরকারের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। জাঙ্ক ফুড এবং নিম্ন জীবনশৈলীকে সাধারণ অসুস্থতার মূল কারণ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সরকারের বিভিন্ন প্রয়াসের কথা উল্লেখ করে স্বচ্ছ ভারত, প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার এবং নলের মাধ্যমে জল সংযোগের মতো অভিযানের কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী গত কয়েকদিন ধরে দ্বারভাঙ্গায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়ে যাওয়া এবং আন্দোলনকে আরও জোরদার করার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব, তাঁর দল এবং রাজ্যবাসীর প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন। এই প্রচারণা আরও কয়েকদিন বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করা গেলে অনেক রোগের তীব্রতা হ্রাস করা যায় বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। তিনি উল্লেখ করেন, রোগ নির্ণয় ও গবেষণার উচ্চ ব্যয় মানুষকে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে জানতে বাধা দিয়েছে। শ্রী মোদী বলেন, “আমরা দেশে দেড় লক্ষেরও বেশি আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির শুরু করেছি”, যা বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক সনাক্তকরণে সহায়তা করবে।
আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ৪ কোটিরও বেশি রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কর্মসূচি প্রবর্তনের আগে বহু অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকেও বিরত থাকতো । শ্রী মোদী বলেন, আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির ফলে এই কর্মসূচি বহু দরিদ্র মানুষের উদ্বেগ দূর করেছে। আয়ুষ্মান যোজনার সুবাদে কোটি কোটি পরিবারের প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে এবং এই কর্মসূচির আওতায় সরকারি ও বেসরকারি উভয় হাসপাতালেই রোগীদের চিকিৎসা করা হয়েছে।
আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির আওতায় ৭০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে তাঁর অঙ্গীকারের কথা পুনরায় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই গ্যারান্টি পূরণ করা হয়েছে। পারিবারিক আয় নির্বিশেষে ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে প্রবীণ নাগরিকদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, সমস্ত সুবিধাভোগীর কাছে শীঘ্রই আয়ুষ্মান ভায়া বন্দনা কার্ড থাকবে। অত্যন্ত কম খরচে ওষুধ সরবরাহ করে এমন জন-ঔষধি কেন্দ্রগুলির কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
ভারতের উন্নত স্বাস্থ্য পরিচর্যার লক্ষ্যে দেশের ছোট শহরগুলিতে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা এবং চিকিৎসক দিয়ে সুসজ্জিত করার চতুর্থ পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে স্বাধীনতার ৬০ বছর পর থেকে সমগ্র দেশে একটিমাত্র এইমস ছিল এবং পূর্ববর্তী সরকারগুলির সময় নতুন এইমস স্থাপনের পরিকল্পনা সম্পূর্ণ হয়নি। তিনি জানান, বর্তমান সরকার শুধু রোগব্যাধির উপর নজরই দেয়নি, দেশের প্রতিটি প্রান্তে নতুন এইমস প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, গত ১০ বছরে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, যার ফলে আরও চিকিৎসক হয়েছেন৷ দ্বারভাঙ্গা এইমস বিহার তথা দেশের সেবার জন্য বহু নতুন চিকিৎসক তৈরি করবে। মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার্পুরী ঠাকুরজীর স্বপ্নের প্রতি এটিই তাঁর সবচেয়ে বড় শ্রদ্ধাঞ্জলি। প্রধানমন্ত্রী জানান, গত ১০ বছরে ১ লক্ষ নতুন মেডিকেল আসন যুক্ত করা হয়েছে এবং আগামী ৫ বছরে আরও ৭৫ হাজার আসন বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন যে হিন্দি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায় ডাক্তারি পড়ার বিকল্পও তৈরি করা হয়েছে।
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারের প্রয়াসের ওপর জোর দিয়ে শ্রী মোদী বলেন, মুজফফরপুরে যে ক্যান্সার কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে, তা বিহারের ক্যান্সার রোগীদের উপকারে আসবে। তিনি আরও বলেন, এই একক সুবিধাটি বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের চিকিৎসার চাহিদা পূরণ করবে এবং রোগীদের দিল্লি বা মুম্বাই য়ে যেতে হবে না। প্রধানমন্ত্রী খুব শীঘ্রই বিহারে একটি নতুন চক্ষু হাসপাতাল স্থাপনের কথা ঘোষণা করেন। তিনি আরও বলেন, বারাণসীতে সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া শঙ্কর চক্ষু হাসপাতালের মতো বিহারে একটি চক্ষু হাসপাতালের জন্য তিনি কাঞ্চি কামাকোটি শ্রী শঙ্করাচার্যজীকে অনুরোধ করেছিলেন এবং তার কাজ এগিয়ে চলেছে।
সুশাসনের মডেল গড়ে তোলার জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ডবল ইঞ্জিন সরকার বিহারের দ্রুত উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ক্ষুদ্র কৃষক ও শিল্পকে শক্তিশালী করার রোডম্যাপ তৈরির কাজ করছে। তিনি বলেন, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, বিমানবন্দর এবং এক্সপ্রেসওয়েগুলির সাথে বিহারের পরিচয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারণ তিনি দ্বারভাঙ্গায় একটি নতুন বিমানবন্দর উন্নয়নের জন্য উড়ান প্রকল্পকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। আজকের অন্যান্য উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির কথাও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যার মধ্যে রয়েছে ৫,৫০০ কোটি টাকার এক্সপ্রেসওয়ে এবং প্রায় ৩,৪০০ কোটি টাকার সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (সিজিডি) নেটওয়ার্ক। তিনি বলেন, উন্নয়নের মহাযজ্ঞ বিহারকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে, যা কর্মসংস্থানের নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলের কৃষক, মাখানা উৎপাদক এবং মৎস্যচাষ ক্ষেত্রের উন্নয়ন সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির আওতায় মিথিলার কৃষক সহ বিহারের কৃষকরা ২৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ পেয়েছেন। মাখানা উৎপাদকদের অগ্রগতির জন্য তিনি এক জেলা এক পণ্য প্রকল্পকে কৃতিত্ব দেন এবং মাখনা রিসার্চ সেন্টারকে জাতীয় প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান। জিআই ট্যাগও পেয়েছে মাখনারা। কিষাণ ক্রেডিট কার্ড এবং প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার সুবিধা গ্রহণকারী মৎস্য চাষিদের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে সরকারের লক্ষ্য ভারতকে বিশ্বের একটি বিশাল মাছ রফতানিকারক হিসাবে গড়ে তোলা।
কোশী ও মিথিলায় বারবার বন্যা পরিস্থিতি থেকে জনসাধারণের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে সরকার সবরকম প্রয়াস চালাচ্ছে এই কথারও পুনরায় উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। নেপালের সহযোগিতায় বন্যার একটি সমাধানে পৌঁছানো যাবে এবং ১১ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের উন্নয়নমূলক কাজ চলছে বলে তিনি দৃঢ় আস্থা ব্যক্ত করেন।
শ্রী মোদী বলেন, বিহার ভারতের ঐতিহ্যের বৃহত্তম কেন্দ্র৷ এই উত্তরাধিকারকে লালন করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। তাই, সরকার ‘বিকাশ ভি, বিরাসত ভি’-র মন্ত্র অনুসরণ করছে। শ্রী মোদী বলেন, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় তার দীর্ঘদিনের হারিয়ে যাওয়া জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আজ এগিয়ে চলেছে।
ভাষা সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভগবান বুদ্ধের শিক্ষা এবং বিহারের গৌরবময় অতীতের শিক্ষায় লেখা পালি ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদায় ভূষিত করা হয়েছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, বর্তমান সরকারই ভারতের সংবিধানের অষ্টম তফসিলে মৈথিলী ভাষাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ঝাড়খণ্ডে মৈথিলীকে রাজ্যের দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের যে ১২টিরও বেশি শহরকে রামায়ণ সার্কিটের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, দ্বারভাঙা হল তার অন্যতম। তিনি বলেন, দ্বারভাঙ্গা-সীতামারহি-অযোধ্যা রুটে অমৃত ভারত ট্রেনটি নাগরিকদের ব্যাপক উপকৃত করেছে।
শ্রী মোদী দ্বারভাঙ্গা এস্টেটের মহারাজ কামেশ্বর সিংজীর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, যিনি স্বাধীনতার আগে ও পরে বহু ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। তিনি আরও বলেন, কামেশ্বর সিং-র সামাজিক কর্মকাণ্ড দ্বারভাঙ্গার গর্ব এবং সকলের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। তিনি বলেন, কাশীতেও তাঁর ভালো কাজের বিষয়ে প্রায়ই আলোচনা হয়। জনসাধারণের জন্য সর্বাধিক সুবিধা গ্রহণের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রয়াসের কথা প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন এবং আরও একবার অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিহারের রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকর, মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পমন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ান।