নিজস্ব প্রতিনিধি, কুমারঘাট, ১০ নভেম্বর:
ত্রিপুরার সরকারী জল জীবন মিশনের বাস্তবতা আজো অদূরের কল্পনা অনেক গ্রামীন তথা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কাছে। ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটের উপজাতি অঞ্চল চন্দ্রখা পাড়ায় জলকষ্টে দিন কাটছে গ্রামবাসীদের। জল জীবন মিশন প্রকল্পে বাড়ীর উঠোনে সাপ্লাই পয়েন্ট বসানো হলেও দেখা নেই পানীয় জলের।
ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট আরডি ব্লকের অধীনে রয়েছে দেওভ্যালী এডিসি ভিলেজের চন্দ্রখা পাড়া উপজাতি গ্রাম। প্রায় তিন শতাধিক মানুষের বসবাস এই গ্রামে। কিন্তু দীর্ঘ বছর ধরেই এই গ্রামের বাসিন্দারা ভূগছেন তীব্র জলকষ্টে। ত্রিপুরার বর্তমান জোট সরকারের আমলে দিকে দিকে জল জীবন মিশনের ঢাউস ঢাউস সব প্রচারের ভীড়ে সরকারী জল প্রকল্পের বাস্তবতা আজো সেই গ্রামের মানুষ খুঁজে পাচ্ছেননা বলেই অভিযোগ। তারা জানিয়েছেন, এলাকায় সরকারীভাবে একটি পাম্প মেশিন বসানো হলেও তার পরিষেবা অনিয়মিত। বাধ্য হয়ে দীর্ঘ চড়াই উৎরাই বেয়ে প্রতিদিন একটি কুয়ো থেকে জল সংগ্রহ করে ব্যাবহার করতে হচ্ছে তাদেরকে।
গ্রামের এক মহিলা জানান, সরকারীভাবে গ্রামের মানুষের বাড়ীর উঠোনে সাপ্লাই পয়েন্ট বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর সেই সাপ্লাই দিয়ে মাসে দু-একবার যে জল দেওয়া হয় তাও আয়রনযুক্ত এবং ব্যাবহারের অযোগ্য। অনেক সাপ্লাই পয়েন্টগুলো আবার ঢেকে গিয়েছে আগাছায়। গিরিবাসীদের মতে গ্রামের সাপ্লাই পয়েন্টগুলো এখন শুধুই যেন লোক দেখানো প্রচারের ঢক্কানিনাদ। তাই চন্দ্রখা গ্রামের মানুষের জলের একমাত্র ভরসা এখন গ্রামের অনতিদূরে থাকা একটি কুয়ো। এটাই হয়তো চন্দ্রখা গ্রামের মানুষের ভবিতব্য।
ত্রিপুরা জুড়ে বছরভর প্রচার চলে জল জীবন মিশনের। সরকারী জল প্রকল্পে মানুষ কতোটুকু লাভান্নিত হচ্ছেন বা হয়েছেন, সরকারী অর্থ ব্যায়ে এনিয়ে প্রশাসনিক এবং দলীয়ভাবে উড়ানো হয় প্রচারের ফানুস। কিন্তু বাস্তব অর্থে গ্রাম পাহাড়ে রিতিমতো হাপাচ্ছে জল জীবন মিশন প্রকল্প। যার বাস্তব উদাহরন কুমারঘাটের চন্দ্রখা পাড়া এলাকা। পার্বত্য এলাকায় থাকা গিরিবাসীরা আদৌ জলজীবন মিশন প্রকল্পের পরিশ্রুত পানীয় জলের সুফল পাবেন কিনা, এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্ভোগপীড়িতদের কাছে।