নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ নভেম্বর:
রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী দপ্তরের অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে রবিবার আচমকা বেশ কয়েকটি পেট্রোল পাম্প পরিদর্শন করেছেন। আসামের লামডিং বদরপুর এলাকায় রেলপথের বিস্তর ক্ষতি সাধিত হওয়ায় পন্যবাহী রেল চলাচল করতে না পারায় রাজ্যে পেট্রোপণ্যের মজুতে ঘাটতে দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য রাজ্য সরকার রবিবার থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত পেট্রোলের রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেছে।
দিচক্র যানের জন্য ২০০ টাকা, যাত্রীবাহী যানের জন্য ৪০০ টাকা এবং বড় গাড়ির জন্য ১০০০ টাকা পর্যন্ত পেট্রোল সরবরাহ করতে পারবে পেট্রোল পাম্প।
এদিকে রাজ্যে পেট্রোলের মজুতের সাময়িক ঘাটতি থেকে কাজে লাগিয়ে কালোবাজারীরা যাতে কোন ধরনের সুযোগ নিতে না পারে সেজন্যই মন্ত্রী নিজে পেট্রোল পাম্পগুলো পরিদর্শন করে এব্যাপারে পেট্রোল পাম্প কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। কালোবাজারিতে বিক্রির জন্য কেউ পেট্রোলের জন্য পেট্রোল পাম্পে যোগাযোগ করলে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি খাদ্য দপ্তরের নজরে আনতে বলা হয়েছে। কোন পেট্রোলপাম্প কর্তৃপক্ষ যদি এ ব্যাপারে সহযোগিতা না করে এবং কালোবাজারিদের সহযোগিতা করে তাহলে পেট্রোল পাম্প বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে করা হুশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন উত্তর-পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। ১৩ তারিখের মধ্যেই রেলপথ সংস্কার করে পেট্রোপণ্য রাজ্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। মালবাহী কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়ায় মালবাহী রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। ফলে জ্বালানি তেল আসছেনা রাজ্যে। চাহিদার সঙ্গে যোগানের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় রবিবার থেকে রাজ্যে পেট্রোলের ওপর রেশনিং ব্যবস্থা জারি করা হয়েছে। ফলে যান চালকরা পেট্রোল পাম্পের দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। ঠিক একই ভাবে বড়দোয়ালি পেট্রোল পাম্পে গাড়ি ও বাইক চালকদের দীর্ঘ লম্বা লাইন লক্ষ্য করা গেছে। যান চালকদের লাইন এতটাই লম্বা ছিল পেট্রোল পাম্প ছাড়িয়ে রাস্তা পর্যন্ত চলে যায় লাইন।