নয়াদিল্লি, ৭ নভেম্বর (হি.স.) : অসম, মেঘালয় এবং অরুণাচল প্ৰদেশের সীমান্ত সমস্যার সমাধানে গৃহীত পদক্ষেপের কতটা অগ্রগতি হয়েছে, সে সম্পর্কে একাধিক পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন। বৈঠকে ছিলেন অসম, মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যসচিব সহ সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ।
সূত্রের খবর, তিনটি রাজ্যের মুখ্যসচিব যথাক্রমে অসমের ড. রবি কোটা (আইএএস), মেঘালয়ের ডিপি ওয়াহলাং (আইএএস) এবং মিজোরামের এইচ লালেংমাওইয়া (আইএএস) পৃথকভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসে তাঁদের সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। প্রসঙ্গত, এ বছরের আগস্টে স্বরাষ্ট্রসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন গোবিন্দ মোহন। দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ (বৃহস্পতিবার) তিনি সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য অসমের সাথে মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশের স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলিও পর্যালোচনা করেছেন। বৈঠকগুলিতে উপস্থিত ছিলেন তিন রাজ্যের গৃহ দফতরের সচিব এবং ডিজিপিও।
মূলত আন্তঃরাজ্য সীমান্ত সমস্যা সমাধান সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্রীন্য় সরকারের সঙ্গে উচ্চস্তরীয় এই বৈঠকের আয়োজন করেছে অসম সরকার। অসম সরকার কেন্দ্রীয় সরকারকে আগেই জানিয়েছে, প্রতিবেশী দুই রাজ্যের শীর্ষ আমলারা কী ষড়যন্ত্র করেছে। তা পরিষ্কার করতেই বৈঠকের আয়োজন করতে কেন্দ্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল অসম সরকার।
সূত্রের আরও খবর, অসমের বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলা সংক্রান্ত আরেকটি বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে অরুণাচল প্রদেশ এবং মেঘালয় থেকে প্রবাহিত জলে অসম কীভাবে প্রভাবিত হচ্ছে, সে সব তথ্যও রাজ্য (অসম) সরকার জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে।
এর পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন অসমের শিক্ষামন্ত্রী ডা. রণোজ পেগুর উপস্থিতিতে রাভা হাসং স্বশাসিত পরিষদ, তিওয়া স্বশাসিত পরিষদ এবং মিসিং স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কাৰ্যনির্বাহী সদস্যদের (সিইএম) সঙ্গে আরেকটি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে সংশ্লিষ্ট স্বশাসিত পরিষদগুলির সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরিষদগুলি তাদের ক্ষমতা এবং কার্যাবলী উপস্থাপন করে তাদের সাংবিধানিক মর্যাদা প্রদানের জন্য অনুরোধ করেছেন।
সূত্ৰটি আরও জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অসমের আত্মসমর্পণকারী উগ্রপন্থী সংগঠন আলফা সহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের সাথে স্বাক্ষরিত বেশ কয়েকটি শান্তি চুক্তির অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছেন।