BRAKING NEWS

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স’ নীতি সমগ্র বিশ্ব গ্রহণ করেছে : অমিত শাহ

নয়াদিল্লি, ৭ নভেম্বর : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ নয়াদিল্লিতে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এন আই এ) আয়োজিত দুই দিনের ‘সন্ত্রাসবিরোধী সম্মেলন-২০২৪’-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে পৌরোহিত্য করেন। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এনআইএর নীতিসংহিতা উন্মোচন করেন, এবং বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধাত্মক (ইউ এ পি এ) তদন্তের জন্য এসওপি প্রকাশ করেছেন এবং এনআইএ থেকে ১১ জন পদক বিজয়ীদের সংবর্ধনা জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন, ডিরেক্টর, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) তপন কুমার ডেকা, ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পঙ্কজ সিং এবং এনআইএ মহাপরিচালক সদানন্দ বসন্ত দাতে প্রমুখ| সম্মেলনে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের এর ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিক সহ আইন, ফরেনসিক, প্রযুক্তি ইত্যাদির মতো সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করছেন।

সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে এনআইএ শুধুমাত্র একটি তদন্তকারী সংস্থা নয় এবং এর তত্ত্বাবধানে সারা দেশে গৃহীত সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপ এর সংকলন এবং প্রচার করা উচিত এবং এমন সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত যাতে তদন্তকারী সংস্থা দৃঢ়তার সাথে আদালতে দাঁড়াতে পারে এবং সন্ত্রাসবিরোধী ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা যায়।

অমিত শাহ বলেন যে, আজ ১১ জন পদক বিজয়ীকেও সংবর্ধিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে ৭৫ বছরে, ৩৬,৪৬৮ জন পুলিশ কর্মী দেশের সুরক্ষা দিতে গিয়ে, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বজায় রাখতে গিয়ে এবং সীমান্ত সুরক্ষার জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নরেন্দ্র মোদী  ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে ১০ বছরে, ভারত সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি সুনির্দিষ্ট কৌশল নিয়ে এগিয়েছে। তিনি বলেন মোদীজির ‘সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ বা শূন্য সহনশীলতার স্লোগান শুধু ভারতই নয়, গোটা বিশ্ব গ্রহণ করেছে। গত ১০  বছরে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভারতে একটি শক্তিশালী বাস্তুতন্ত্র তৈরি করা হয়েছে। শ্রী শাহ আরো বলেন যদিও অনেক কিছু করার বাকি আছে, তবে বিগত ১০ বছরের কাজের পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে তা সদর্থক ও সন্তোষজনক বলে বিবেচিত হতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরও ঘোষণা করেন যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শীঘ্রই সন্ত্রাসবাদ, সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের সমর্থনকারী সমগ্র বাস্তুতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি জাতীয় সন্ত্রাস-বিরোধী নীতি ও কৌশল প্রবর্তন করবে।

শ্রী শাহ বলেন রাজ্যগুলির নিজস্ব ভৌগলিক এবং সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, পক্ষান্তরে, সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসীদের কোনও সীমানা নেই। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা আন্তর্জাতিক এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় উভয় ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কৌশল তৈরি করতে আমাদের এই ধরনের সম্মেলনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এই ব্যবস্থা সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসা এবং হাওয়ালা অপারেশনের মতো কার্যকলাপ, যা দেশের সীমানা এবং অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ, তাকে  নিয়ন্ত্রণে আনতে  সাহায্য করবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন জিহাদি সন্ত্রাসবাদ থেকে উত্তর-পূর্বের জঙ্গি কার্যকলাপ, বামপন্থী চরমপন্থা, জাল মুদ্রা থেকে মাদক পাচার ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে আন্তে ২০২০ সালে, সন্ত্রাসবাদের সাহায্যকারী অর্থায়ন নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি ২৫-দফা সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয। এফসিআরএ থেকে মৌলবাদী অর্থায়ন থেকে অবৈধ অস্ত্রের চোরাচালান, বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে ‘ইকোসিস্টেম’ ভাঙার কাজ করা হয়েছে এবং এটি খুব ভাল ফলা দিয়েছে। তিনি বলেন, মাল্টি-এজেন্সি সেন্টারের (ম্যাক) কার্যপ্রনালীতেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। শ্রী শাহ উল্লেখ করেন ন্যাশনাল মেমোরি ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে এবং এটি কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেসও তৈরি করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ডেটাবেস তৈরি করা হয়েছে, যা সন্ত্রাসবাদকে চিরতরে নির্মূল করতে সহায়তা করবে।

দেশের সমস্ত রাজ্যকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে নিজেদের লড়াই  হিসাবে বিবেচনা করার আহবান জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী | তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ়তার সাথে লড়াই করার সংকল্প নিয়ে এক সর্বাত্মক বাস্তুতন্ত্র তৈরী করবে|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *