কলকাতা, ১ নভেম্বর (হি. স.) বাজিবাজারের শেষদিনে মন্দা ব্যবসার আক্ষেপ। গত বছর ৮ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করা সম্ভব হয়েছিল। এবছর ওই টার্গেট দ্বিগুণ ছিল। কমপক্ষে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এ পর্যন্ত হিসেব না হলে ও অন্তত ১২হাজার কোটি টাকায় গিয়ে পৌঁছবে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের।
সারা বাংলা আতসবাজি ব্যবসায়ী সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, প্রথমত, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এবং দ্বিতীয়ত তিনদিন পর মেলা শুরু হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ব্যবসাতে এবছর মন্দা রয়েছে। ১২৫ ডেসিবেল এর নিচে এমন আতসবাজি বেচাকেনা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ৬৯% তামিলনাডু থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। বাংলার উৎপাদন ২০% রয়েছে। শিবকাশি, হরিয়ানা, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ বিহার থেকেও তো আতসবাজি এ রাজ্যে নিয়মিত সরবরাহ হয়। তবে, বাংলাতে সবুজবাজি তৈরি হয়। তুবড়ি, রঙ মশাল, ইলেকট্রিক ওয়্যার ও চরকি তো রয়েছেই। গত বছর এ সব কিনতে খরিদ্দারদের ৬০০ টাকা খরচ হলে এবছর তা বেড়ে হয়েছে ৭০০ টাকার মতো। তবে, মনে রাখা দরকার কালি পটকার চেন ও দোদমা বন্ধ। চকলেট বোমা পাওয়া যাচ্ছে ১২৫ ডেসিবেল এর নিচে। রকেট ও মিলছে।