নিজস্ব প্রতিনিধি, কুমারঘাট, ৩০ অক্টোবর: বৃহষ্পতিবার কালিপূজো। পূজো উপলক্ষে কুমারঘাট শহরের বুকে বনেদি ক্লাবে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রাত পোহালেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শক্তির আরাধ্যা দেবী শ্যামামায়ের আরাধনা। দিকে দিকে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
রাজ্যের ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট শহরেও পূজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে চলছে অন্তিম পর্যায়ের সাজসজ্জার কাজ। কুমারঘাট শহরাঞ্চলে দূর্গাপূজোর মতো কালী পূজোর তেমন আড়ম্বড় না থাকলেও শহরের হাতেগোনা ক্লাবগুলোর মধ্যে কালিপূজোর আয়োজনে মূক্তিসূর্য্য ক্লাব অন্যতম।বরাবরের মতোই এবারো শক্তি আরাধনায় ব্রতী শহরের এই বনেদী ক্লাব।
এবছর তাদের পূজোর ৪৮তম আয়োজন। ক্লাব সদস্য তথা পূজো কমিটির কোষাধক্ষ পলাশ রায় জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ইসকন মন্দিরের অনুকরনে তৈরী হচ্ছে তাদের এবারকার পূজো মণ্ডপ। স্থানীয় শিল্পীদের দ্বারাই ফুটে উঠছে দেবী প্রতিমা থেকে আলোক সজ্জা। তিনি জানিয়েছেন, আগামী দুদিন পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে পূজো মণ্ডপ এবং প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে থাকবে বিভিন্ন সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান। এলাকার মানুষকে প্রতিবছরই নতুন কিছু উপহার দেওয়ার লক্ষে তাদের এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন ক্লাব সদস্য। এবারে পূজোর আয়োজনে ক্লাবের সর্বমোট বাজেট চার লক্ষ টাকা।
ক্লাব সদস্য জানান, এবছর চাঁদার অবস্থা খুবই খারাপ তাই পূজোর খরচ মেটাতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদেরকে। প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে বাইরে থেকে চাঁদা সংগ্রহ করা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ক্লাবের সদস্যদের চাঁদার পরিমান বাড়িয়ে চেষ্টা হচ্ছে ঘাটতি মেটানোর।
সমস্ত প্রতিকুলতার মাঝেও ক্লাবের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার লক্ষে পূজোকে অন্য মাত্রায় পৌছে দিতে প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছেন পূজো উদ্যোগতারা। বিগত দিনের মতো মুক্তিসূর্য্য ক্লাবের এবারের আয়োজনও দর্শনার্থীদের মন কাড়বে বলে আশাবাদী ক্লাব কর্মকর্তারা।