BRAKING NEWS

ভারতের উত্থান: অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির একটি নতুন যুগ

 সন্তোষ কুমার ও সরলা মিনা

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বিষয়ে আলোচনায় অনেকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে শীর্ষে রয়েছে ভারত এবং চীন, এই দুই বৃহত্তম উদীয়মান অর্থনীতি। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ইন্ডিয়া লিডারশিপ সামিটে এই দুই বিশাল অর্থনৈতিক শক্তির মধ্যে অর্থনৈতিক গতিশীলতার মধ্যে পরিবর্তনের  ওপর সর্বাধিক চর্চা করা হয়। যদিও গত কয়েক দশক ধরে চীনের দ্রুত প্রবৃদ্ধি তাকে বিশ্ব মঞ্চে একটি প্রভাবশালী খেলোয়াড় হিসাবে পরিণত করেছে, অন্যদিকে ভারতের সাম্প্রতিক বিকাশ ও প্রবৃদ্ধি বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর টেনে নিচ্ছে । বিশ্ব ব্যাপী ভারতের দিকে উচ্চ প্রত্যাশার নজর তাকে বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি শক্তিশালী প্রতিযোগী হিসাবে স্থান দিয়েছে ।

এই উর্ধ্বগামী পথের গুরুত্ব তুলে ধরে মার্কিন-ভারত কৌশলগত অংশীদারিত্ব ফোরামের চেয়ারম্যান জন চেম্বারস মন্তব্য করেছেন “এই শতাব্দীর শেষের দিকে ভারত কেবল চীনকে ছাড়িয়েই যাবে না শুধু, জিডিপির (সার্বিক ঘরোয়া  উৎপাদন)-র মাপকাঠিতে একশ  ভাগ বৃহত্তর হয়ে উঠবে” । তাঁর এই আশাবাদের মূল কোনোরকম উচ্চতর ভবিষ্যদ্বাণীর মধ্যে নিহিত ছিল না; তবে রূপান্তরমূলক নীতি এবং সংস্কার কার্যকলাপের মাধ্যমে গত দশকে ভারত যে বাস্তবিক অগ্রগতি দেখিয়েছে এবং দেশের অর্থনৈতিক চেহারাকে আমূল ভাবে বদলে দিয়েছে এর ওপর নিহিত ছিল । রূপান্তরের এই বাস্তবিকতা দেশের অসাধারণ উত্থান নিয়ে এবং বিশ্ব মঞ্চে এর ভবিষ্যত সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার আবহ তৈরি করেছে।

চেম্বার্স দূরের ভবিষ্যতের ব্যাপারের মধ্যে থামেননি। তিনি, ইতিমধ্যে সুপ্রোথিত ভারতের ভিত্তিমূলের প্রতিফলনকে দেখতে চেয়েছেন এবং এজন্য  ভারত সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন । তিনি মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, ” আমি মনে করি এই প্রশাসন এই দশকের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করার অসাধারণ কাজটি করেছে তার প্রথম পাঁচ বছরে “। আসলে এও সত্যি যে, তাঁর এই মন্তব্য এসেছে ভারতের অসাধারণ অর্থনৈতিক সাফল্যের প্রেক্ষাপটে, যেকারণে ভারত ধারাবাহিকভাবে খাড়া প্ৰবৃদ্ধি অর্জন করে দেখাচ্ছে । বিশ্বব্যাংকের ভারত উন্নয়ন প্রতিবেদন অনুসারে ২০২৪-২৫ সালে দেশের জিডিপি-র ৭% হারে মজবুত বৃদ্ধি পাবে, যা বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বড় অর্থনীতি হিসাবে তার অবস্থানকে নির্দেশ করছে। এই বৃদ্ধির গতি আগে থেকেই অব্যাহত রয়েছে- কেননা, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে জিডিপি ৭% বেড়ে ২০২৩-২৪ সালে ৮.২% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সংখ্যাগুলি ভারতের অর্থনীতির অনন্য মসৃন গতিময়তাকে এবং একটি সুনির্দিষ্ট কৌশলের ফলকে প্রতিফলিত করে। ভারতের দ্রুত বৃদ্ধির চিত্রের উলটোদিকে, চীনের অর্থনৈতিক গতির রেখাচিত্র কিন্তু থমকে থমকে চলছে।  বিশ্বব্যাংকের মতে ২০২৪-এ চীনের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৪.৮ % হবার সম্ভাবনা এবং তা আরো নেমে ২০২৫-এ গিয়ে দাঁড়াবে ৪.৩ শতাংশে ।

ভারতের ইতিবাচক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তি করে সেবির পূর্ণ সময়ের সদস্য অনন্ত নারায়ণ এনএসই-তে বিনিয়োগকারী সচেতনতা সপ্তাহের অনুষ্ঠানে ভারতের চিত্তাকর্ষক অর্থনৈতিক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “গত পাঁচ বছরে ভারতীয় বাজারসমূহ ধারাবাহিকভাবে প্রায় ১৫ শতাংশ যৌগিক বার্ষিক বৃদ্ধির হার দিয়েছে,  চীনের বাজারগুলি এর ধারেকাছেও ভিড়তে পারেনি।এরা ছিল  প্রায় শূন্য। প্রকৃতপক্ষে হংকংয়ের মতো কিছু ক্ষেত্রে তাদের বৃদ্ধির হার ছিল ঋণাত্মক ”। নারায়ণ জোর গলায় বলেন যে, ২০২৪ সত্যি একটি ব্যতিক্রমী বছর – যেখানে বেঞ্চমার্ক সূচকগুলি ২৮% হারে বেড়েছে এবং যখন অস্থিরতার সূচক তলানির দিকে,  মাত্র ১০ শতাংশে দাঁড়িয়ে ছিল –  একে সুবর্ণ সময় বলে তিনি বর্ণনা করেছেন কারণ তা দিয়েছে কম ঝুঁকি এবং উচ্চ লাভের এক নিখুঁত সংমিশ্রণ। 

বাজারী সাফল্যের দিকগুলো ছাড়াও, ভারতের প্রবৃদ্ধির শিকড় খুঁজতে হলে ডিজিটাল ভারতের মতো কৌশলগত উদ্যোগের দিকে নজর দিতেই হবে। যাকে চেম্বার্স দেশের অর্থনৈতিক কৌশলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে উল্লেখ করেচেন। তাঁর মতে . ” ডিজিটাল ভারত শুধু স্বপ্ন ছিল না, বাজার কোথায় যাবে তার উদ্দেশ্যে সেটি একটি  সমঝোতা ছিল। ২০১৫ সালে চালু এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল ভারতকে ডিজিটাল ব্যবস্থায় ক্ষমতায়িত সমাজের দিকে রূপান্তরিত করা এবং এর ফলাফলও উল্লেখযোগ্যভাবে কম ছিল না। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার অন্যতম উল্লেখযোগ্য ফলাফল হলো ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস (ইউপিআই) দ্বারা আনা রূপান্তর যা ভারতীয়দের লেনদেনের রাস্তাকে নতুন রূপ ও পথ বের করে দিয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ইউপিআই-এ ৯২ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১৩,১১৬ কোটি টাকায়। এই সাফল্য বস্তুতপক্ষে ইউপিআই সুবিধাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে এবং ডিজিটাল অর্থনীতি ও লেনদেন ক্ষেত্রে  ভারতকে বিশ্ব মাঝে নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

ইউপিআই-এর উপরন্তু, কো -উইন  প্ল্যাটফর্ম কোভিড-১৯ মহামারির সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হিসাবে উদ্ভাবিত হয়, যা ভারতের টিকাকরণ অভিযানকে ডিজিটাল করার মূলভিত্তি হিসাবে কাজ করেছিল। একদিনও বন্ধ না থেকে ২২০ কোটি টিকার ডোজ দিতে সক্ষমতা দেখতে পেরেছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহারে দেশের ক্ষমতাকে প্রদর্শিত করেছে। কো -উইন শুধুমাত্র একটিমাত্র বিশ্ব সংকটের সময় ভারতের কার্যকর সংবেদনশীলতাকেই প্রতিনিধিত্ব করে নি বরং ডিজিটাল পরিকাঠামো কীভাবে বড় মাপের স্বাস্থ্য পরিষেবার উদ্যোগকে সহায়তা করতে পারে তা করে দেখিয়েছে।

এই সাফল্যগুলি একসাথে প্রদর্শন করে যে ডিজিটাল ভারত দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধির জন্য একটি ডিজিটাল সার্বিক অর্থনীতির জন্য ভিত্তি স্থাপন করেছে। এই ডিজিটাল বিপ্লবের প্রভাব অর্থ প্রদান এবং পরিচয় যাচাইয়ের বাইরেও প্রসারিত। আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির আওতায় ৩৫.৬ কোটিরও বেশি আয়ুষ্মান কার্ড বন্টন করা হয়েছে যার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন। এছাড়াও ৯ কোটিরও বেশি ফাস্ট্যাগ দেওয়া করা হয়েছে যা ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী নির্মিত যানবাহনের সংখ্যার প্রায় সমান- যা দেশের মহাসড়ক জুড়ে ঝঞ্ঝাট মুক্ত ভ্রমণের সুবিধা দেবে । এই সব সাফল্য ভারতের ডিজিটাল রূপান্তরের ব্যাপকতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেয় – যার মধ্য দিয়ে জীবনের প্রতিটি দিককে ধরা গেছে এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ক্রম-উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার পথ খুলে দিচ্ছে।

চেম্বারস দেশের অর্থনৈতিক উত্থানের পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে ভারতে স্টার্টআপগুলোর বিস্ফোরক বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করেছেন। তাঁর মতে, ” ১০ থেকে ১২ বছর আগেও ভারতে স্টার্টআপের সংখ্যা খুবই কম ছিল । আর  ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে স্টার্টআপগুলোতে বিনিয়োগ ১৫ গুণ বেড়েছে ” । এই বিনিয়োগের বৃদ্ধি একটি  উদ্যোগীদের জন্য একটি গতিময় পরিবেশ তৈরি করেছে। আজ ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের কেন্দ্রবিন্দু ও যেখানে ১৫১ ০০০ এরও বেশি স্টার্টআপ গড়ে উঠেছে।  ২০১৬ সালে চালু হওয়া স্টার্টআপ ইন্ডিয়া উদ্যোগ এই ক্ষেত্রটিতে বিপুল প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে বিরাট ভূমিকা নিয়ে চলেছে । এখন এই স্টার্টআপ গুলো ১৫.৫ লাখের বেশি সরাসরি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। সঠিক নীতির মাধ্যমে উদ্ভাবন কিভাবে জটিল চ্যালেঞ্জগুলোও মোকাবেলা করে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে পারে এর এক উজ্জ্বল উদাহরণ স্টার্টআপ ইন্ডিয়া উদ্যোগ।

চেম্বারস এর মন্তব্যগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রেও প্রসারিত হয়েছে । এই ক্ষেত্রটিতেও ভারত উল্লেখযোগ্য আকর্ষণভাবে অন্যদের আকর্ষণ করছে । সরকার ২০২৩ সালে “এআই ফর ইন্ডিয়া ২.০” এর মতো উদ্যোগ চালু করে এবং ২০২৪ সালে গ্লোবাল ইন্ডিয়া এআই সামিট আয়োজনের সাথে সাথে এটি স্পষ্ট করে দেয় যে ভারত বিশ্বব্যাপী মঞ্চে এআইয়ের নেতা হিসাবে নিজের অবস্থান করে নিতে প্রস্তুত হচ্ছে। চেম্বারস মন্তব্য করেছেন “ভারত এআইয়ের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং এটি তার কর্মশক্তির পরবর্তী প্রজন্মকে রূপ দেবে ” । এই সম্মেলনে বিশ্বজুড়ে ১২ ০০০ এরও বেশি বিশেষজ্ঞ একত্রিত হয়েছিল। ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক সাফল্যের জন্য এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর প্রতিশ্রুতির উপর জোর দিয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রটিতে এই ফোকাসটি কেবল প্রযুক্তিগত অগ্রগতির বিষয়ে নয় বরং আগামী দিনের চাকরিতে দক্ষ কর্মী বাহিনী তৈরি করা সহ আরও সুস্থায়ী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার দিকেও নজর দেওয়া হয়।

তবে ভারতের অর্থনৈতিক সাফল্যের গল্প শুধু শীর্ষে বৃদ্ধির বিষয়ে নয়। চেম্বার-এর মন্তব্যগুলি এই উদ্যোগের বিস্তৃত প্রভাবকেও ধরার চেষ্টা করে। প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা (পিএমজেডিওয়াই) এর মতো স্কিম দ্বারা চালিত ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে, পূর্বের লক্ষ লক্ষ ব্যাংকহীন ব্যক্তিকে আনুষ্ঠানিক আর্থিক ব্যবস্থায় নিয়ে এসেছে। এক দশক আগে প্রতিষ্ঠার পর থেকে পিএমজেডিওয়াই ৫৩ কোটিরও বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছে যা মানুষকে আর্থিক পরিষেবা পেতে এবং অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম করে তুলেছে। এই ধরনের তৃণমূল উন্নয়ন ভারতের প্রবৃদ্ধিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক, সার্বিক করে তোলা এবং সমৃদ্ধির সুবিধা দেশের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে মূল চাবিকাঠি।

আবাসন হল আরেকটি ক্ষেত্র যেখানে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি স্পষ্টভাবে প্রকাশিত, বিশেষত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-আরবান (পিএমএওয়াই-ইউ)-এর আওতায় ১.১৮ কোটিরও বেশি বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যার মধ্যে ৮৭.২৫ লক্ষেরও বেশি বাড়ি ইতিমধ্যেই নির্মিত ও বিতরণ করা হয়েছে। এই উচ্চাভিলাষী আবাসন উদ্যোগটি সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন সমাধানের সন্ধানি মধ্যবিত্ত পরিবারসহ লক্ষ লক্ষ পরিবারকে সুরক্ষিত ও সমস্ত আবহাওয়ার উপযোগী বাড়ি সরবরাহ করে দিয়ে তাঁদের জীবনকে রূপান্তরিত করছে। এই প্রকল্পের বাস্তব ফলাফল আরও একটি লক্ষণ যে ভারত কীভাবে দীর্ঘমেয়াদী বিকাশের ভিত্তিকে স্থাপন করছে এবং কেউ যেন পিছনে পড়ে না থাকে তা নিশ্চিত করছে , এতে তাঁদের জীবনে স্থিতিশীলতা বাড়িয়ে তুলছে এবং অনেকের জীবনযাত্রার মানও উন্নত করছে।

চেম্বার্স যখন ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে কথা বলছেন তখন তার সুর আশাবাদী তো ছিলই কিন্তু বাস্তবতার ভিত্তির ওপর প্রোথিত ছিল । তিনি মনে করেন  “ভিত্তিটি কেবল আগামী পাঁচ বছরের জন্য নয়, আগামী ২৫ বছরের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ” । তার বিশ্বাস যে ভারত এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ চীনের অর্থনৈতিক শক্তিকে ছাড়িয়ে যাবে । তাঁর এই উক্তি কিছু মানুষের কাছে উচ্চাভিলাষী মনে হতে পারে কিন্তু গত এক দশকে দেশের অগ্রগতির চিত্র তার কথায় গুরুত্ব দেয়। ডিজিটাল প্রযুক্তির গ্রহণ, স্টার্টআপের উত্থান, সুস্থায়ী স্টক মার্কেট এর সাফল্য, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর দৃঢ় নজর প্রদান  এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বিকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারত এমন একটি পথে রয়েছে যা আগামী বছরগুলিতে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক গতিশীলতাকে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *