কলকাতা, ১৬ অক্টোবর (হি.স.): পর্যবেক্ষক হিসাবে বৃহস্পতিবার রাঁচিতে গিয়ে প্রথম বৈঠক করবেন প্রাক্তন সাংসদ তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। এআইসিসি তাঁকে ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডের অন্যতম প্রবীণ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছে।
হরিয়ানা দখল করতে ব্যর্থ কংগ্রেস এখন জেএমএম-কে সঙ্গে নিয়ে ঝাড়খণ্ড ধরে রাখতে মরিয়া। অধীর-তারিখ আনোয়ারদের মতো পোড়খাওয়া নেতাদের পর্যবেক্ষক করা থেকেই তা স্পষ্ট। নির্বাচনী প্রচার করতে ভিন রাজ্যে গিয়েছেন অধীরবাবু। সূত্রের খবর, বুধবার তিনি জানিয়েছেন, হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে কংগ্রেসের সুসম্পর্ক রয়েছে। ফলে নির্বাচনী সমঝোতায় সমস্যা হবে না।
বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ যাওয়ার পরে অধীর চৌধুরীকে এই প্রথম কোনও বড় দায়িত্ব দিল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমেই যে কোনও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে রণকৌশল বাস্তবায়িত করে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। প্রার্থী বাছাই থেকে জোট সমীকরণ কার্যকর করা— সব দায়িত্ব থাকে পর্যবেক্ষকদের কাঁধে।
মঙ্গলবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের সূচি ঘোষণা করেছে। দু’দফায় আগামী ১৩ এবং ২০ নভেম্বর সেখানে ভোট। ফল প্রকাশ ২৩ নভেম্বর। যদিও এই ঘোষণার আগেই অধীর চৌধুরী, তারিখ আনওয়ার এবং বিভি মাল্লুকে ঝাড়খণ্ডের সিনিয়র পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেয় কংগ্রেস।
অতীতে দীপা দাশমুন্সিকে হিমাচল প্রদেশ, কেরালা, তেলঙ্গানার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছিল হাইকম্যান্ড। তিন জায়গাতেই সফল হয়েছিলেন দীপা। দীর্ঘদিন ধরে অধীর একাধারে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা-সহ একাধিক দায়িত্বে থাকায় এআইসিসি তাঁকে কোনও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়নি।