আগরতলা, ৯ অক্টোবর: এডিসি এলাকায় ৬টি বড় উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভা ৩০ কোটি টাকা মঞ্জুরী দিয়েছে। আজ সামাজিক মাধ্যমে এই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহা। এই সিদ্ধান্তে রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিপরা মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ ও রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য্য ।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য মন্ত্রিসভা ত্রিপুরা উপজাতীয় অঞ্চল স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদকে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৩০ কোটি মঞ্জুর করেছে।এদিন তিনি আরও বলেন, বিজেপি সরকার ষষ্ঠ তফসিল এলাকার জনজাতি সম্প্রদায়ের জন্য অবকাঠামো, জীবিকা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নত করার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে।
সেগুলো হল, খেরেংবার কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তৃতীয় তলার সম্প্রসারণ এবং মোবাইল মেডিকেল ইউনিটের কার্যক্রম শুরু করার জন্য ২১০,০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। খুমলুভ-বেলবাড়ি রাস্তা জাদো হল থেকে শুরু হয়ে খুমুলুপ্ত স্টেডিয়াম হয়ে খেরেংবার কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়নের জন্য (দৈর্ঘ্য ০.৬৯৮ কিমি) ২১.২২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিল্লায় আঠারবুলায় গরিয়া একাডেমিতে অডিটোরিয়াম ভবন নির্মাণের জন্য ২১০.৩০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। টিটিএএডিসি এলাকায় গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড সহ মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ ২৪.৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। উনকৌটি জোনের অন্তর্গত রাজকান্দি জনজাতি গার্লস হোস্টেলের মেরামতি এবং জোনাল ডেভেলাপমেন্ট অফিসের বাউন্ডারি দেওয়াল নির্মাণের জন্য ২০.৪৩ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। সাইকার জে.বি স্কুলে আরসিসি ছাদযুক্ত স্কুল ভবন নির্মাণ, মনিরামপাড়া জেবি স্কুলে আরসিসি ছাদযুক্ত স্কুল ভবন নির্মাণ এবং রাজকান্দি বাজারে দ্বি-তল বিশিষ্ট মার্কেট শেড নির্মাণের জন্য ২৩.৫৫ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে।
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে তিপরা মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, গত ৪ মার্চ তিপ্রাসা চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রথম ধাপের তহবিল টিটিএডিসিতে বরাদ্দ করা হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ যে মুখ্যমন্ত্রী তিপ্রাসার কিছু প্রয়োজনীয়তা শুনেছেন এবং এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিন তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন তহবিল ছাড়া এডিসি পরিচালনা করা কঠিন। তাই কেন্দ্রের কাছেও অনুরোধ করেছেন উপজাতীয় এলাকায় কিছু তহবিল ছেড়ে দেওয়ার জন্য। বন্যা রাজ্যে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি করেছে এবং রাজ্য সরকার এবং এডিসি উভয়ই লড়াই করছে। জিওআই-এর উচিত ত্রিপুরা একটি বিশেষ মর্যাদা দেওয়া এবং এডিসি এবং নন-এডিসি উভয় এলাকার জন্য অর্থ ছাড় করা।
এদিকে, রাজ্য সরকারের এই মহতী উদ্যোগের জন্য প্রদেশ বিজেপির তরফ থেকে রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য্য রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহাকে ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।