নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ৯ অক্টোবর: বছর ঘুরে আবার ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরছে। বাঙালির অপেক্ষার অবসান। শাস্ত্র মতে প্রত্যেকটি প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে পূজিত হবে মৃন্ময়ী মা চিন্ময়ী রূপে। তাই ধরনীর বুকে রকমারি আয়োজনের বাহার। দিকে দিকে দেবী পুজোর উদ্যোক্তা ক্লাব থেকে শুরু করে বারোয়ারী পুজো উদ্যোক্তারা।
তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্যতম বনেদী প্রগ্রেসিভ ইউথ ক্লাব।তেলিয়ামুড়া ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলোর মধ্যে এই ক্লাব অন্যতম। প্রতি বছর থিম পূজার আয়োজন করে থাকে এই ক্লাব। এইবছর এই ক্লাব প্রাকৃতিক পরিবেশ আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের নর্থ সেন্টিনেল আইলেন্ড থিমকে নিয়ে পুজাতে ব্রতী হয়েছে। কলকাতার শিল্পী এই থিমকে ফুটিয়ে তুলেছেন। মায়ের ঢাকেশ্বরী রূপ তৈরি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে আগত শিল্পী,আলোক উজ্জ্বল বর্ণময় করে তুলেছে স্থানীয় শিল্পীরা, রয়েছে নানাবিদ সামাজিক কর্মসূচি।
তেলিয়ামুড়ার অন্যতম বনেদি ক্লাব বুলেট ক্লাব। প্রতিবছর থিম পুজোর আয়োজন করে এছাড়া সামাজিক কাজকর্মে এ ক্লাব নিজেদের জড়িয়ে রাখে সারা বছর। মানব দেহের আধ্যাত্মিক সাতটি চক্র যেমন মোলাধার চক্র স্বাধীন স্থান চক্র মনিপুরচক্র অনাহত চক্র বিশুদ্ধ চক্র আজ্ঞা চক্র সহস্রারচক্র। এই সাতটি চক্রের রূপকে এবং জৈব বৈচিত্র্য এর মাধ্যমে প্রবেশ কে কিভাবে সুন্দর রাখা যায়, এবছর প্যান্ডেলে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে স্থানীয় শিল্পীর মাধ্যমে।
সামাজিক কাজকর্মের মধ্যে ইতিমধ্যে বৃক্ষরোপণ রক্তদান শিবির নেশা বিরোধী সচেতনতা, স্বচ্ছতায় সেবা কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে। গত দুই বছর যাবত রাজ্য সরকার থেকে জেলা ভিত্তিক সেরা পুরস্কারে ভূষিত এই ক্লাব। তাছাড়া গতবছর রাজ্যের যুব ও ক্রীড়া দপ্তরের পক্ষ থেকে দুর্গা পূজায় সার্বিক ব্যবস্থাপনায় খোয়াই জেলায় প্রথম পুরস্কারের সন্মাননা লাভ করেন বুলেট ক্লাব।ক্লাবের থিম ক্লাব গুলির মধ্যে একটি নেতাজি নগর এলাকার নেতাজি স্মৃতি সংঘ।তেলিয়ামুড়া ও রাজ্য বাসীর সামনে যে থিম নিয়ে হাজির হয়েছে তা সুন্দরবনের অরণ্য কন্যা। মূলত প্রকৃতি’কে তাদের এই পুজো প্যান্ডেলের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষ জনের কাছে নতুনভাবে নব আঙ্গিকে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা কে সামনে রেখে তারা এই থিমের পরিকল্পনা নিয়েছেন।
তেলিয়ামুড়া র অন্যতম ক্লাব রাজদূত শহরের উপর এই ক্লাবের পূজা না হলে শহর থাকে অন্ধকারে।এইবছর বাঁশ বেত দিয়ে পেঁচার আদলে পেন্ডেল করেছে এই ক্লাব।প্রতিটি ক্লাব সদস্যরা আশাবাদী শত শত মানুষের পদচারণায় তাদের এই ক্লাব গুলির পূজোর কয়েকটা দিন তাদের প্যান্ডেল প্রাঙ্গণ অন্য এক মাত্রা পাবে।
তাছাড়া পুর পরিষদ এলাকায় সপ্ত সিন্ধু দশ দিগন্ত, এগিয়ে চল রাজনগর জয় দূর্গা সঙ্ঘ, এগিয়ে চলো, মাছ ও শুকনো মাছ ব্যবসায়ী, জয়নগর যুব সংস্থা, মার্চেন্ট এসোসিএশন, দশমীঘাট মহিলা বৃন্ধ গৌরাঙ্গটিলা সর্বজনীন, একতা সঙ্ঘ, শক্তি সঙ্ঘ, নাইন জুয়েল সহ বহু পূজা অননবারের নায় এইবার ও হচ্ছে।গ্রাম শহর মিলে তেলিয়ামুড়া মহকুমায় দুইশ এর অধিক পূজা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।