BRAKING NEWS

বন্যা ও মূল্যবৃদ্ধি কোমর ভেঙে দিয়েছে মৃৎশিল্পীদের, সোনামুড়া মহকুমার মৃৎশিল্পীদের ব্যবসা মন্দা

আগরতলা, ৩ অক্টোবর: শারদীয় উৎসবের প্রাক মুহূর্তে গ্রামীন এলাকার জনজীবন একেবারে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সমাজের অধিকাংশ মানুষের বহুমুখী সমস্যায় এখন জর্জরিত। বিশেষ করে প্রথমত, মৃৎ- শিল্পীদের। সারা বছরের জন্য অপেক্ষায় থাকে মৃৎশিল্পী যারা প্রত্যেকেই। তার কারণ, দুর্গা মূর্তি নির্মাণ করে যা কিছু টাকা সংগ্রহ করা যায় এতে করে সারা বছরের জন্য এটাই একমাত্র আয়ে উৎসব

এই অবস্থায়, গোটা সোনামুড়া মহকুমা জুড়ে যে সমস্ত মৃৎশিল্পীরা আছেন তাদের এখন ভীষণ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। কারণ একদিকে চলছে বৃষ্টি প্রতিদিন, আকাশ মেঘে ঢাকা- সূর্যের দেখা নেই! থেমে থেমে বৃষ্টি, আবার কখনো ভারী বৃষ্টি। বিগত কয়েকদিন ধরে প্রাকৃতিক অবস্থা এমনই। এই অবস্থায় মূর্তি শুকানো বড়ই কষ্টকর হচ্ছে। অপরদিকে, দুর্গামূর্তির কাঠামো নির্মাণ করতে গিয়ে বিগত বছরের তুলনায় খরচ অনেকটাই বেড়েছে, এমনটাই মৃৎশিল্পীদের অভিযোগ।কিন্তু সেই তুলনায় প্রতিমার মূল্য পাওয়া যায় না দূর্গা পূজা উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে। তার কারণ, দ্রব্যমূল্য মূল্য বৃদ্ধি হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সেই তুলনায় সার্বজনীন পূজা কমিটি গুলির ঠিকমতো চাদা আদায় করাও এবারে কষ্টকর হচ্ছে। চাদা যারা অন্যান্য বছর দিয়ে থাকেন, তাদের অভিযোগ হচ্ছে যথেষ্ট অর্থ সংকট।

অর্থ সংকটের কারণ ও বহুমুখী, যেমন প্রতিদিন বৃষ্টি থাকার পরিপ্রেক্ষিতে মানুষ প্রায় গৃহবন্দী। সরকারি কাছ থেকে শুরু করি এমনকি বেসরকারি কাজে এই বৃষ্টির মধ্যে সম্ভব না। অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে এবারের শারদীয় উৎসব আদৌ কেমন যায় সেটা অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, যা বিগত পূজার সময়তে এমনটা সমাজে বুঝা যায়নি।অপরদিকে পূজার বাকি আর চার থেকে পাঁচ দিন। বিভিন্ন গ্রামীণ বাজার গুলতে ছোট থেকে মাঝারি ব্যবসায়ী সবাই হা করে তাকিয়ে আছে। কেনাকাটা অনেকটাই একেবারে মন্দা।

বিগত কিছুদিন আগে গেল ভয়াবহ বন্যা, যা অর্থনৈতিকভাবে কমবেশি সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। এই অবস্থায় আবারো প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা, গ্রামীন এলাকার সাধারণ মানুষ একবারে পুজোর প্রাক মুহূর্তে যেন অসহায়! বৃহস্পতিবার সকালবেলায় কাঠালিয়া বাণিজ্যিক এলাকার প্রবীণ মৃৎ শিল্পী গৌরাঙ্গ পাল, নিরঞ্জন সরকার, প্রাণজিত পাল সহ আরো কয়েকজনের সাথে আলাপচারিত এমনটাই বুঝা গেল। কাঠালিয়া বাণিজ্যিক এলাকার আরো বেশ কয়েকজন কাপড় দোকানের মালিকের সাথে কথা বলেও জানা গেল পূজার বাজার কেমন হয় তারাও চিন্তিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *