আগরতলা, ১ অক্টোবর : ত্রিপুরায় আক্রান্ত শিক্ষক, শিল্পী, সাংবাদিক, চিকিৎসক, পুলিশ সহ সাধারন মানুষ। রাজ্য জুড়ে চলছে জঙ্গলের রাজত্ব। দিনের পর দিন এই আক্রমনে তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাফিয়া সন্ত্রাস, তোলাবাজি, চাঁদাবাজি রাজ্যে নতুন করে ঝাকিয়ে বসেছে। এমনটাই অভিযোগ তুলে ডিওয়াইএফআই-র যুবতী নেতৃত্বরা শহরে এক বিক্ষোভ মিছিল করে। পরবর্তী সময়ে তাঁরা ডিজিপির কাছে ডেপুটেশনে মিলিত হয়েছেন।
এদিন এক সদস্যা অভিযোগ করেন, ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন যে, রাজ্যে এক অরাজক পরিস্থিতি চলছে। রাজ্যে শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, সাংবাদিক, আরক্ষা কর্মী, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব-কর্মী সহ সাধারন মানুষ প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে। দিনের পর দিন এই আক্রমনে তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাফিয়া সন্ত্রাস, তোলাবাজি, চাঁদাবাজি রাজ্যে নতুন করে ঝাকিয়ে বসেছে।
এদিন তিনি বলেন, রাজ্যে ছাত্রী, যুবতী, মহিলাদের উপর হিংসা, আক্রমন ক্রমবর্ধমান। একমকি রাজধানীর প্রাণ কেন্দ্রেও আজকাল ছাত্রী, যুবতী, মহিলারা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে মোহনপুরে ২২ বছরের এক তরুনীকে গনর্ধষন করে এক মাঠের মাঝখানে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়। এই বিভৎসতম ঘটনার আজ পর্যন্ত বিচার হয়নি। এরকম অসংখ্য ঘটনায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন না করার ফলে, অপরাধীরা আজকাল খুল্লাম খুল্লা। আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তারা চলছে। যার ফলে আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্নভাবে ভেঙে পরেছে। পাশাপাশি গোটা রাজ্য নেশায় ডুবে যাচ্ছে। রাজ্যের প্রতিটি গলিতে চলছে নেশার অবাধ বাণিজ্য।
তাঁর কথায়, নেশায় আসক্ত হয়ে হাজার হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। গোটা সমাজ আজ ধুৎসের মুখামোখি। নেশাকারবারিদের বিরুদ্ধে নেই কোন কঠোর পদক্ষেপ। নেশাকারবারির গাড়ি কমলচোরা থানার পুলিশ অফিসারকে মেরে ফেলল সেটার বিরুদ্ধে পর্যন্ত কোন কঠোর পদক্ষেপ নেই। এ এক অরাজকতা চলছে। এরই প্রতিবাদে সরব হয়েছে ডিওয়াইএফের নারী নেতৃত্বরা।
তাঁদের দাবি, রাজ্যে আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠা করা, ছাত্রী, যুবতী, মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা, নেশা বাণিজ্য বন্ধ করা ও নেশাকারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা।

