জনজাতি ছাত্রাবাসগুলির সামগ্রিক পরিকাঠামো উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী

আগরতলা, ৩০ সেপ্টেম্বর : জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় আরও বেশি করে এগিয়ে আসতে হবে। ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চা ছাত্রছাত্রীদের মনে যেমন আনন্দ দেয় তেমনি সম্প্রীতিও সুদৃঢ় করে। আজ সুকান্ত একাডেমি অডিটোরিয়ামে রাজ্য সরকার পরিচালিত রাজ্যের জনজাতি ছাত্রী ও ছাত্রাবাসগুলিতে পাঠরতদের মধ্যে মাধ্যমিকে কৃতি ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী আরও বলেন, ছাত্রছাত্রীরা দেশের ভবিষ্যৎ। তারা প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠলে দেশের কল্যাণ হবে। সরকার জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে গুণগত শিক্ষার প্রসারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। জনজাতি ছাত্রাবাসগুলির সামগ্রিক পরিকাঠামো উন্নয়নেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে মাধ্যমিকে জনজাতি ২৩ জন ছাত্র ও জনজাতি ২২ জন ছাত্রীকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে এবছরের মাধ্যমিকে জনজাতি ছাত্রী ও ছাত্রাবাসগুলির মধ্যে প্রথম বিলোনীয়ার ললিতা ত্রিপুরা, দ্বিতীয় সাব্রুমের সহেল ত্রিপুরা ও তৃতীয় কুমারঘাটের মনাসন দারলংকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া ১৬৪টি জনজাতি ছাত্রী ও ছাত্রাবাসগুলির ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিভিন্ন ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, গুণগত শিক্ষায় জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করতে প্রি-মেট্রিক ও পোস্ট মেট্রিক স্কলারশিপের টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে তিনি প্রি-মেট্রিক ও পোস্ট মেট্রিক স্কলারশিপের জন্য ছাত্রছাত্রীদের আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শুভাশিষ দাস। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী সহ অতিথিগণ ছাত্রাবাসের আবাসিকদের হাতে ফুটবল, ক্যারাম বোর্ড, ভলিবল, নেট ও ক্রিকেট সেট তুলে দেন। এছাড়া অতিথিগণ কৃতি জনজাতি ছাত্র ও ছাত্রীদের হাতে ট্রফি ও শংসাপত্রও তুলে দেন। ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা ভি দারলং।