গুয়াহাটি, ৩০ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : কামরূপ মেট্রো জেলার অন্তর্গত গুয়াহাটির উপকণ্ঠ সোনাপুরের কচুতলি গ্রামে প্রশাসন পরিচালিত উচ্ছেদের পরিপ্রেক্ষিতে অসম সরকার আদালত অবমাননা করেছে বলে সুপ্রিম কোর্ট কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে। আজ সোমবার জারিকৃত নোটিশটি অসম সরকারের রাজস্ব দফতরের প্ৰধানসচিব, কামরূপ মেট্রো জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার, সোনাপুরের সার্কল অফিসার এবং সোনাপুর থানার ওসিকে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলে তাৎক্ষণিকভাবে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখার নিৰ্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে, ১৭ সেপ্টেম্বর শীর্ষ আদালত এক নির্দেশনা জারি করে বলেছিল, ১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের কোনও রাজ্য, কেন্দ্ৰীয় শাসিত অঞ্চলে বুলডজার চালাতে পারবে না সংশ্লিষ্ট প্ৰশাসন। এই নিৰ্দেশনার পরও অসম সরকার সোনাপুরের কচুতলি গ্রামে বুলডজার দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে।এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, সোনাপুরের কচুতলি গ্রামে সরকারি এবং ট্ৰাইবাল বেল্টের জমিতে সন্দেহভাজন নগরিকরা অবৈধ নির্মাণ করে বসবাস করছেন বলে অভিযোগ ছিল। অসম সরকার জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করতে দফায় দফায় অভিযান চালায়। এর মধ্যে গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রশাসন পরিচালিত উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট যুদ্ধসদৃশ পরিস্থিতেতে দুই ‘জবরদখলকারী’র মৃত্যু হয়। পরবৰ্তীতে কচুতলিতে উচ্ছেদের শিকার কয়কজন নাগরিক শীর্ষ আদালতে যান। এছাড়া আরও বেশ কয়কজন গুয়াহাটি উচ্চ আদালতে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে রিট পিটিশন দাখিল করেন। এদিকে ১৭ সেপ্টেম্বর শীর্ষ আদালতে বুলডজার অভিযান সংক্রান্ত মামলার শুনানি পর্বে ১ অক্টোবর পর্যন্ত গোটা দেশে বুলডজার চালাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে নিৰ্দেশনায় আদালত এ কথাও বলেছিল, রেল লাইন, রাস্তা-সড়ক এবং অন্যান্য সরকারি জমিতে অবৈধ বেদখলকারীদের উচ্ছেদ করতে পারবে সংশ্লিষ্ট সরকার। এর জন্য কোনও অনুমতি প্ৰয়োজন হবে না।আদালতের ওই নিৰ্দেশনার পর অসম সরকার পুনরায় কচুতলিতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল। এর পর উচ্ছেদের শিকার ৪৭ জন আবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতে তাঁরা অভিযোগ করেন, ১ অক্টোবর পর্যন্ত বুলডজার চালানো বন্ধ রাখার নিৰ্দেশ দেওয়ার পরও কীভাবে অসম সরকার উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে? এই অভিযোগ পেয়ে অসম সরকারকে আদালত অবমাননার নোটিশ জারি করে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছে শীর্ষ আদালত।
2024-09-30