বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে শহরে মৌন মিছিল ফোরাম ফর প্রোটেকশান অফ মাইনোরিটিজ ইন বাংলাদেশের

আগরতলা, ২৯ সেপ্টেম্বর: ফোরাম ফর প্রোটেকশান অফ মাইনোরিটিজ ইন বাংলাদেশ নামে সদ্য গড়ে ওঠা সংগঠনের ডাকে আজ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে শহরে মৌন মিছিল সংঘটিত করা হয়।  

আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক চালের প্রভাবে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং তত্ত্বাবধায়ক নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নারকীয় অত্যাচারের ঘটনা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন মন্দির ও ধর্মীয় স্থানে হামলা ভাঙচুর ইত্যাদি ঘটনার প্রতিবাদে ফোরাম ফর প্রোডাকশন অফ মাইনোরিটিস ইন বাংলাদেশ নামে গঠিত সংগঠন প্রতিবাদ বিক্রয় সামিল হয়েছে। সংগঠনের ডাকে রবিবার বেলা ১১ টায় আগরতলা প্লেস ক্লাবের সামনে থেকে রাজধানী আগরতলা শহরে প্রতিবাদে মৌন মিছিল সংগঠিত করা হয়। মৌন মিছিলে সাংবাদিকরা ছাড়াও বিভিন্ন ক্লাব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ধর্মীয় সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ শামিল হন। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন পদ পরিক্রমা করে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। তো দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে মৌন মিছিলের সূচনা হয়। 

এদিন মিছিল শুরুর আগে ঘটনাবলীর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক সুবল কুমার দে, প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য, সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ প্রেস ক্লাবের প্রাক্তন সম্পাদক প্রণব সরকার সহ অন্যান্যরা। মৌন মিছিল শেষে সংগঠনের এক প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে   বাংলাদেশ সরকারের উদ্দেশ্যে একটি স্মারকলিপি প্রেরণ করেন। 

এদিন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ প্রেস ক্লাবের প্রাক্তন সম্পাদক প্রণব সরকার বলেন,  বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সহ সমগ্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার নামিয়ে আনা হয়। তাদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ঐ সম্প্রদায়ের মহিলাদের উপর ধর্ষণ সহ নানারকম অত্যাচার নামিয়ে আনা হয়। কিছু মানুষকে জোর করে ধর্মান্তরকরণ করা হয়।

কোটা বিরোধী আন্দোলন কিভাবে সংখ্যালঘুদের অত্যাচারের রূপ নিল তা বিষ্ময়কর। এর থেকে এই ব্যাপারটি স্পষ্ট যে এই আন্দোলনের অন্তরালে মুসলিম মৌলবাদী জঙ্গীবাহিনীর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে।

এদিন তিনি আরও বলেন, তাই ফোরাম সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে যতদিন প্রতিবেশী দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চালানো হবে এই সংগঠনও তার আন্দোলন জারী রাখবে এবং সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়া হবে।

ইতোমধ্যে এই সংগঠনের তরফে দুটো স্মারকলিপি তৈরি করা হয়েছে। একটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে প্রেরণ করা হবে এবং তার সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ দাবি করা হবে।

অন্য স্মারকলিপিটি বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের কাছে পাঠিয়ে উনাকে বলা হবে যে অবিলম্বে সংখ্যালঘুদের উপর সবরকমের অত্যাচার বন্ধ না হলে এবং জঙ্গীদের সঙ্গে এই সরকারের যোগসাজস বন্ধ না হলে আরও তীব্র জনমত গঠন করা হবে এবং আন্দোলন সংগঠিত করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *