শ্রীনগর, ২৫ সেপ্টেম্বর (হি.স.): বুধবার সকাল সাতটা থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফাতেও যাতে শান্তিপূর্ণ ভোট হয় তা নিশ্চিত করতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের তরফে। এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটদানের হার প্রায় ৫০ শতাংশ।
বদগামে ৫৮.৯৭ শতাংশ, গান্ডেরবালে ৫৮.৮১ শতাংশ, পুঞ্চে ৭১.৫৯ শতাংশ, রাজৌরিতে ৬৭.৭৭ শতাংশ, রিয়াসিতে ৭১.৮১ শতাংশ আর শ্রীনগরে ভোট পড়েছে ২৭.৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, জম্মুর তিনটি এবং কাশ্মীরের তিনটি জেলা মিলিয়ে ২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে রয়েছে ভোট। মধ্য কাশ্মীরের তিন জেলা হল বদগাম, গান্ডেরবাল এবং শ্রীনগর। জম্মুর তিন জেলা হল রইসি, রাজৌরি এবং পুঞ্চ। এগুলির মধ্যে শ্রীনগরে আটটি, বদগাম জেলায় পাঁচটি, রাজৌরিতে পাঁচটি, পুঞ্চে তিনটি, গান্ডেরবালে দু’টি এবং রইসিতে তিনটি বিধানসভা আসন রয়েছে।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের দ্বিতীয় দফার ভোটে নজরে রয়েছেন একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা-সহ মোট ২৩৯ জন প্রার্থী রয়েছেন বুধবারের দ্বিতীয় দফার নির্বাচনী লড়াইয়ে। ওমর এবার লড়ছেন দু’টি কেন্দ্র থেকে। একটি বদগাম, আরেকটি গান্ডেরবাল। ওমর ছাড়াও জম্মু ও কাশ্মীরের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাড়রা, বিজেপির রাজ্য সভাপতি রবীন্দ্র রায়না, জম্মু ও কাশ্মীর আপনি পার্টির প্রধান আলতাফ বুখারির মতো হেভিওয়েট প্রার্থীদের ভাগ্যপরীক্ষা বুধবার।
এদিন এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে ভোটদানের আর্জি জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লেখেন, আজ জম্মু-কাশ্মীরে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ। আমি সমস্ত ভোটারদের কাছে আর্জি জানাই আপনারা ভোট দিন এবং গণতন্ত্রকে মজবুত করতে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করুন।
জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনে নৌসেরা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রবিন্দর রায়না সকালেই হাজির হন ভোট দিতে। তিনি রাজৌরি জেলার লাম্বারি এলাকার একটি ভোট কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। রবিন্দর রায়না বলেন, আজ গণতন্ত্রের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। কারণ জম্মু ও কাশ্মীরের দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ভোটাররা উৎসাহের সঙ্গে ভোটে অংশগ্রহণ করছে। নৌসেরা আসনের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভোটারদের সংখ্যা বেশি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বুধবার বলেছেন যে জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে উত্সাহ রয়েছে। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো প্রথম দফায় নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৬০ শতাংশের বেশি। একটা সময় ছিল যখন সন্ত্রাসবাদীদের হুমকির কারণে ভোটের হার সিঙ্গেল ডিজিটে ছিল। এখন মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিচ্ছে। শেখাওয়াত বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ বিজেপির পক্ষে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছে। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর সন্ত্রাসবাদকে রুখে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে জনগণের মনোভাব ইতিবাচক। তিনি বলেন যে, বিজেপি জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার গঠন করবে।