আগরতলা, ২০ সেপ্টেম্বর: গত দুই মাস ধরে যুবরাজনগর ব্লকের আওতাধীন জৈথাং এডিসি ভিলেজের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে উঠেছে। সরকারি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অফিসের দরজা বন্ধ থাকায়, সাধারণ মানুষ আধার কার্ড, আয় সার্টিফিকেট এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সরকারি সেবার জন্য চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এমনকি প্রতিদিনই মানুষ অফিসে গিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন, কারণ কাজ না হওয়ার ফলে তাদের সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
এ গ্রামের পঞ্চায়েত সচিব মনতোষ রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি ইচ্ছামতো অফিস চালাচ্ছেন। সচিবের ইচ্ছা হলে অফিস খোলেন, না হলে বন্ধ রাখেন। এভাবে একের পর এক দিন পেরিয়ে গেলেও, মানুষের কাজকর্মের কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার নোয়াগাং এলাকার সাভ জোনাল লালা-হালাম এবং জয় চুং হালাম সরেজমিনে এসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। স্থানীয়দের অসুবিধা দেখে তারা তাৎক্ষণিকভাবে যুবরাজনগরের বিডিও দেবপ্রিয়া দাসের সাথে কথা বলেন এবং জানতে চান কেন অফিস বন্ধ রয়েছে। বিডিও জানান, সরকারি কোনো ছুটি না থাকায় অফিস খোলার কথা ছিল, কিন্তু অজ্ঞাত কারণে অফিস বন্ধ রয়েছে।
সাভ জোনাল লালা-হালাম আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী জৈথাং এডিসি ভিলেজের উন্নয়নের জন্য অনেক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কিছু অসাধু পঞ্চায়েত সচিবের গাফিলতির কারণে সেই উদ্যোগগুলি ব্যর্থতার সম্মুখীন হচ্ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যদি শীঘ্রই এই ধরনের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে জৈথাং এডিসি ভিলেজের উন্নয়ন থমকে যাবে এবং ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের মানুষের সমস্যা আরও গভীরতর হবে।