জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর তৃণমূলের পাঁচ নেতা-নেত্রীর সম্মিলিত চাপ বৈঠকের জন্য

কলকাতা, ১৬ সেপ্টেম্বর (হি.স.): রাজ্যের তিন প্রবীন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসু ও শশী পাঁজা, সাংসদ পার্থ ভৌমিক, প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ— প্রায় একযোগে সোমবার দুপুর থেকেই চাপ তৈরি করে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর। যাতে প্রতিবাদী চিকিৎসকরা এদিন সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

কালীঘাটে ফের বৈঠকে যাওয়ার আগেই এই পালটা চাপ বাড়াতে শুরু করে রাজ্যের শাসকদল। জুনিয়র ডাক্তাররা মুখ্যসচিবের বৈঠকের আমন্ত্রণের জবাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের একের পর এক নেতৃত্ব সামাজিক মাধ্যমে সরব হন ৷ জুনিয়র ডাক্তারদের জবাব দেওয়া নিয়ে বিলম্বকে তুলে ধরে তাঁরা জট কাটাতে জুনিয়র ডাক্তারদের সদিচ্ছা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলেন ৷

এক্স হ্যান্ডেলে তাঁদের সবারই পোস্টের প্রায় এক বয়ান। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ইমেল পাঠানো হয়েছিল আজ বেলা ১১টা ৪৮-এ। কিন্তু এর জবাব জুনিয়ার ডাক্তারদের তরফ থেকে দেওয়া হল ৩:৫৩ তে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পালটা মেল পাঠানো হয় ৪:৩৩-এ। তৃণমূল নেতাদের দাবি, একের পর এক মেল চালাচালি চলছে। কিন্তু মূল লক্ষ্য আলোচনা, তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।

শাসকদলের তরফ থেকে একাধিক শীর্ষ নেতার প্রশ্ন, জবাব দিতে চার ঘণ্টা সময় লেগে গেল ! আদৌ কতটা আলোচনা করতে চাইছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শিক্ষামন্ত্রী তথা দলের শীর্ষ নেতা ব্রাত্য বসু তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার প্রতিবাদী ডাক্তারদের সুযোগ দিচ্ছেন, কিন্তু তাঁদের বিলম্ব কৌশলই তাঁদের আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ করেছে। চিঠি পাঠানোর পর ৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত এবং এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া নেই৷ যদি তাঁরা সত্যিই অচলাবস্থার সমাধান করতে আগ্রহী হন, তাহলে কেন এই দড়ি টানাটানি?”

আরেক মন্ত্রী শশী পাঁজা এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “প্রতিবাদী ডাক্তারদের দাবিকে সমর্থন করে চলেছেন শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আবারও তাঁদের সঙ্গে স্বচ্ছ ও খোলামেলা আলোচনা করার চেষ্টা করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিতে ৪ ঘণ্টা সময় নেওয়ার পরেও, আমরা আশাবাদী যে তাঁরা এবার পিছপা হবেন না।”

তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, “রাজনৈতিক উসকানির সামনে নতি স্বীকার করবেন, নাকি জনস্বার্থে ন্যায় বিচারের জন্য লড়াই করবেন ? তাঁরা আজ কোনটিকে বেছে নেবেন? বাংলা দেখার অপেক্ষায়…৷”

তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ লেখেন, “যুক্তিবাদী মনের অধিকারী যে কেউ রাজনৈতিক খেলাটি শুঁখে ফেলতে পারে। গত শনিবার শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস সত্ত্বেও তাঁরা সময় নষ্ট করেছেন। আজ সকালে ১১:৪৮-এ বিকেল ৫টার বৈঠকের জন্য পাঠানো চিঠির জবাব ৪ ঘণ্টা পর প্রতিক্রিয়া এসেছে। তাঁরা কি আবার আলোচনায় বাধা দেবেন? সবার চোখ আপনাদের দিকে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *