নিজস্ব প্রতিনিধি, কল্যাণপুর, ১৩ সেপ্টেম্বর: মানুষের অভিযোগ ছিল অনেক আগে থেকেই। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এই অসাধু ব্যবসায়ীকে কেউ কিছু করে উঠতে পারেনি। অবশেষে সংশ্লিষ্ট এলাকার অতিষ্ঠ মানুষের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙ্গে। চোরাবালি সঠিক তথ্য প্রমাণ হাতে করে সরাসরি অভিযোগ জানায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। স্হানীয় মানুষের সম্মিলিত অভিযোগ হাতে পেয়ে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযানে নামে তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রশাসনের খাদ্য, পুলিশ ও সাধারণ দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
শুক্রবার পড়ন্ত বেলায় প্রশাসনের অভিযানকারী দল সরাসরি হানা দেয় কল্যানপুর ব্লকের অমরকলোনী গ্রামের অসাধু ব্যবসায়ী বলে কথিত সংকর পালের ভ্যারাইটিজ সামগ্রীর দোকানে। গ্রামীণ আস্তানায় গড়ে উঠা দোকানে দীর্ঘ বছর ধরেই মেয়াদোত্তীর্ণ সামগ্রীর রমরমা বাণিজ্য। দোকান লাগোয়া এলাকায় বিগত কয়েক বছর আগে থেকেই স্থায়ীভাবে শরনার্থী শিবির গড়ে উঠেছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই ব্যবসায়ী সংকর গ্রাহকদের নিয়মিত ঠকিয়ে নিজের উদরপূর্তিতে মেতে ওঠে।
আজ তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রশাসনের খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক শুভঙ্কর চৌধুরীর নেতৃত্বে ডিসিএম হরিপদ সরকার সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী দোকানে অভিযান শুরু করতেই তাদের চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যায়। অত্যাধিক পরিমাণের শিশুখাদ্য থেকে মসলা, প্যাকেটজাত দুধ,খাবার তেল, চকলেট থেকে বিস্কুট, চিপস্ ইত্যাদি দুই বছরেরও মেয়াদোত্তীর্ণ সামগ্রীর হদিস মিলছে।
সাথে সাথেই গোটা দোকান, গোডাউনে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণের মেয়াদোত্তীর্ণ মালামাল বাজেয়াপ্ত করে। পরবর্তীতে অসাধু ব্যবসায়ী সংকর পালের দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য সিল করে দেওয়া হয়। অভিযানকালে খাদ্য আধিকারিক শুভঙ্কর চৌধুরী জানায় দীর্ঘদিন ধরেই কল্যানপুর অমর কলোনি এলাকার ব্যবসায়ী সংকর পালের দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ সামগ্রী অবাদে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এই বিষয়ে সঠিক তদন্ত করতে আজ এই দোকানে তল্লাশি চালানো হয়।
সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণের মেয়াদোত্তীর্ণ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, পাশাপাশি অনির্দিষ্টকালের জন্য দোকান সিল করা হয়। পরবর্তী সময়ে দপ্তরের আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘটনার প্রেক্ষিতে দপ্তরের ভূমিকায় গোটা এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশাসনের প্রতি ব্যাপক আস্তা পরিলক্ষিত হয়েছে।