BRAKING NEWS

এবছর মায়ের গমন অনুষ্ঠান ১৪ অক্টোবর, বন্যা পরিস্থিতি মাথায় রেখে চাঁদার জুলুম থেকে বিরত থাকতে ক্লাবগুলির নিকট আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ সেপ্টেম্বর: এবছর মায়ের গমন অনুষ্ঠান ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। আজ মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে মায়ের গমন ও শারদ সম্মান-২০২৪ নিয়ে এক প্রস্তুতি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা।

সভায় মুখ্যমন্ত্রী পুরানো ঐতিহ্যকে বজায় রেখে এবছর মায়ের গমন অনুষ্ঠান উজ্জয়ন্ত মার্কেটের সামনে থেকে শুরু করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। যা সভায় সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। সভায় মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে ক্লাব সংস্কৃতি অনেকটাই পরিবর্তিত হয়ে গেছে। তিনি এই ধারাকে বজায় রেখে এবং রাজ্যে বন্যা পরবর্তী অবস্থাকে বিবেচনায় রেখে পুজোর চাঁদা নিয়ে জোরজবরদস্তি না করার জন্য সকলের কাছে অনুরোধ করেন। তাছাড়াও পুজোর সময় মধ্য রাত্রিকালীন সময়ে শহরে সুরক্ষা ব্যবস্থা দিনের অন্যান্য সময়ের তুলনায় আরও জোরদার করার জন্য আরক্ষা প্রশাসনের প্রতি পরামর্শ দেন।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগরতলা পুরনিগম দশমীঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের যে ব্যবস্থা করে তা অভূতপূর্ব। সভায় মুখ্যমন্ত্রী পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকদের পুজোর আগেই প্রবল বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলির মেরামতের জন্য পরামর্শ দেন। সভায় আলোচনা করতে গিয়ে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার বলেন, এবছর থেকে আগরতলা শহরে এলাকাভিত্তিক আরও নতুন ১২টি দশমী ঘাট তৈরী করা হচ্ছে। বটতলাস্থিত দশমীঘাটের পরিষেবা আরও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এই দশমীঘাটে যাওয়ার রাস্তা ৮ মিটার প্রশস্ত করা হয়েছে।

পুজোর দিনগুলিতে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হবে। সভায় মেয়র উপস্থিত ক্লাব কর্তৃপক্ষদের প্রতি পুজোর আয়োজনে আগরতলা পুরনিগমের বিভিন্ন নির্দেশিকা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেন। সভায় স্বাগত বক্তব্যে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী বলেন, পুজো আয়োজন উপলক্ষে যেসকল নির্দেশিকা রয়েছে তা ক্লাব কর্তৃপক্ষদের মেনে চলতে হবে।

পূর্ববর্তী মায়ের গমন অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনায় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য বলেন, মায়ের গমন অনুষ্ঠান গত ২০২২ সাল থেকে শুরু হয়েছিল। ঐবছর অনুষ্ঠানে ৪৭টি এবং গত বছর ৩৯টি ক্লাব অংশ নেয়। তিনি আরও বলেন, মায়ের গমন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য ৭ অক্টোবরের মধ্যে উৎসাহী ক্লাবগুলিকে অনলাইনে বা অফলাইনে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বিজয় দেববর্মা সহ ইউবিএসটি, কুঞ্জবন সেবক সংঘ, ৭৯টিলা ছাত্র সংঘ, সূর্যতোরণ এবং কুঞ্জবন স্পোর্টিং ইউনিটের প্রতিনিধিগণ। সভায় আগরতলা শহরের বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *