নিজস্ব প্রতিনিধি, বিলোনিয়া, ৬ সেপ্টেম্বর: বন্যায় বিলোনিয়া শান্তিরবাজার প্রধান সড়কের ছয়ঘড়িয়া চোদ্দ দেবতা মন্দির সংলগ্ন এলাকায় রাস্তা দুভাগ হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যেহেতু জেলা সদর বিলোনিয়া এবং শান্তিরবাজার মহকুমায় জেলা হাসপাতাল এবং জেলা পরিবহন দপ্তরের অফিস রয়েছে তাই বিলোনিয়া শান্তি বাজার যোগাযোগের একমাত্র প্রধান এই রাস্তাটির গুরুত্ব অনেকটাই বেশি।
যদিও রাস্তা ভাঙ্গার পরে দপ্তর বিকল্প একটি রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে যাতায়াতের জন্য। কিন্তু সেই রাস্তাটি বর্তমানে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তার অবস্থা এত খারাপ যে নিয়মিত এম্বুলেন্স রোগী নিয়ে যথা সময়ে জেলা হাসপাতালে পৌঁছাতে পারছে না। এছাড়াও জেলার দুটি গুরুত্বপূর্ণ অফিস থাকার কারণে মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় কাজে যাতায়াত করতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
অনেক দিন ধরে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে থাকলেও পূর্ত দপ্তরের কোন হেলদোল নেই এমনই অভিযোগ বরঞ্চ পূর্ত দপ্তর বিলোনিয়া ডিভিশন এবং শান্তিরবাজার ডিভিশন একে অপরের উপর দোষ চাপিয়ে হাত গুটিয়ে বসে আছে। এদিকে নাজেহাল অবস্থা নিত্যযাত্রী থেকে ইমারজেন্সি রোগীদের। সাধারণ মানুষের একটাই বক্তব্য, যে ডিভিশনের এই দায়িত্বে থাকুক না কেন রাস্তাটা চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া তাদের দরকার কারণ তারা সরকারেরই একটি দপ্তর।
যদিও ওই এলাকাটির একটি অংশ বিলোনিয়া ও অপর একটি অংশ শান্তিরবাজার মহকুমার অধিনে। এরমধ্যে পুরো এলাকাটি রয়েছে শান্তিরবাজার পূর্ত দপ্তরের অধীনে। তাই শান্তিরবাজার ডিভিশনকে এই বিকল্প রাস্তার কাজকে দ্রুততার সাথে করে দেওয়া প্রয়োজন। সেই সাথে মূল রাস্তাটিকেও দ্রুততার সাথে মেরামত করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে মানুষ। শুক্রবার সকাল থেকে এলাকাবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে রাস্তা সংস্কারের কাজে হাত লাগায়। এখন দেখার বিষয় পূর্ত দপ্তর জনগণের কথা মাথায় রেখে কত দ্রুত এ রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে দিতে পারে।