নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলপুর, ৩ সেপ্টেম্বর:
অবশেষে কমলপুরের বিধায়ক প্রাক্তন মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেবের হস্তক্ষেপে ছয় দিন পর দুর্গা চৌমুহনী ব্লকের এক নং কলাছড়ি পঞ্চায়েতের তালা খুলল।
প্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সদলীয়দের মধ্যে বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করায় পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল একাংশ। এলাকার বিধায়ক দফায় দফায় উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ৬ দিন পর পঞ্চায়েত অফিসের তালা খুলে দিয়েছেন। নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ৬ দিন ধরে পঞ্চায়েতের যাবতীয় কাজকর্ম স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল।
মঙ্গলবার পঞ্চায়েত অফিসের তালা খুলে দেওয়ার পর কাজকর্ম স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানা গেছে।
দীর্ঘ ৬ দিন বন্ধ থাকার পর শর্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার তালা খুলে দেওয়া হলো দুর্গা চৌমুহনী ব্লকের অধীন ১নং কলাছড়ি পঞ্চায়েতের। দুর্গা চৌমুহনী ব্লকের অধীন কলাছড়ি পঞ্চায়েত। ওয়ার্ড ৫টি। সদস্য সদস্যা সংখ্যা ৯জন। নির্বাচন হয় নি। বিজেপির প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী। প্রধান উপ প্রধান পদ নিয়ে দলের মধ্যে দুই গোষ্ঠীর জন্ম নেয়। শুরু হয় ক্ষোভ বিক্ষোভ। গত ২৯ আগস্ট কলাছড়ি পঞ্চায়েতের অফিসে প্রধান,উপ প্রধান সহ ৯ সদস্য সদস্যার শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল।
বিজেপি দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীরা প্রধান,উপ প্রধান পরিবর্তন নিয়ে ১ নং কলাছড়ি পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে কমলপুর — আমবাসা সড়কের কলাছড়ি পঞ্চায়েত অফিসের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বসে। অবরোধের ফলে ভোগান্তির শিকার হন সাধারন মানুষ। কোন গোষ্ঠীর নেতারা আসে নি আলোচনা করে অবরোধ প্রত্যাহার করানোর জন্য। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার পঞ্চায়েতের তালা খুলে বিধায়ক মনোজ কান্তি দেবের সিল ও সাক্ষরিত কাগজে প্রধান দ্রৌপদী মালাকার ও উপপ্রধান নিবাস দাসকে সামনে রেখে ১১ জনের পঞ্চায়েত উন্নয়ন কমিটি গঠন করে পঞ্চায়েত সচিবের উদ্দেশ্যে জি আর এস কর্মী বাবুল দত্তের নিকট জমা দেন। মঙ্গলবার দল থেকে ১১জনের এক উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়। এখন থেকে উন্নয়ন কমিটি পঞ্চায়েত পরিচালনা করবে।

