নিজস্ব প্রতিনিধি, কদমতলা, ১ সেপ্টেম্বর: বামগ্রেস ও বিজেপির সংঘর্ষের ঘটনায় বিজেপি সমর্থকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাজনগরে ইন্ডিয়া জোটের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি সংঘটিত হয়। কদমতলা ব্লক এলাকার রাজনগর গ্ৰাম পঞ্চায়েতে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে বামগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলা পাল্টা মামলায় সরগরম কদমতলার রাজনীতি।
ঘটনার দিনেই শাসক দল বিজেপি, বামগ্রেসের সাত জনের বিরুদ্ধে কদমতলা থানায় মামলা করেছিল এবং এরপরের দিনই ইন্ডিয়া জোটের নেতারা বিজেপির এগারো জনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করে কদমতলা থানায়। ঘটনা গত ৩০ আগস্ট দুপুর ১টা নাগাদ। ঐদিন যথারীতি কদমতলা ব্লক আধিকারিক ও পঞ্চায়েত অফিসারদের উপস্থিতিতে রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় রাজনগর কমিউনিটি হলে। যথারীতি অনুষ্ঠান পর্ব সুন্দরভাবেই সম্পূর্ণ হয়।
এরপরই সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাকবিতন্ডা শুরু হয়ে ও পরে মারামারির ঘটনা সংঘটিত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মী অল্পবিস্তর আহত হন। পরে মণ্ডল নেতারা খবর পেয়ে তাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে। অপরদিকে বামগ্ৰেস শিবিরেরও বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মী অল্পবিস্তর আহত হন বলে খবর। তাছাড়া এই ঘটনায় কমিউনিটি হলের চেয়ার টেবিল সহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভেঙ্গে চুরমার করা হয়। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হওয়ায় এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয় সচেতন মহল।
এদিকে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপির মন্ডল সভাপতি থেকে শুরু করে মন্ডল নেতারা কদমতলা থানা ঘেরাও করে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানায়। এর রেশ কাটতে না কাটতেই বিধায়ক ইসলাম উদ্দিন সহ বামগ্রেসের এক ঝাঁক কর্মীসমর্থকরা থানায় এসে বিজেপির এগারো জনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন।
এরই প্রতিবাদে শনিবার সন্ধ্যায় রাজনগর বাজারে সিপিএম কংগ্রেসের কর্মীরা যৌথভাবে বিক্ষোভ প্রতিবাদ কর্মসূচি সংঘটিত করে। বিক্ষোভ মিছিল করে পরে তারা সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিযোগ জানান, বিজেপির সমর্থিতরা পরিকল্পিতভাবে পুলিশ প্রশাসনের সামনেই হামলা চালিয়েছে। তাই পুলিশ যেন এদের অতিসত্বর গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসে।
এদিন তাদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন রাজনগর অঞ্চল সম্পাদক জহরুল হক ও কংগ্রেস নেতা মানিক লাল দাস। তারা জানান, এখনই যদি পুলিশ সঠিক তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার না করে তাহলে রাজ্য নেতাদের উপস্থিতিতে বৃহত্তর আন্দোলন সংঘটিত হবে কদমতলায়।