আগরতলা, ৩০ আগস্ট: আগরতলা, ৩০ আগস্ট: শাসক দল বিজেপির প্রধান ও উপপ্রধান পদে ঘোষিত প্রার্থীরা দূর্নীতিতে নিমজ্জিত। তাই সাধারণ তাঁদের মেনে নিচ্ছেন না। ফলে, পঞ্চায়েত গঠন নিয়ে রাজ্যে বর্তমানে দাবানলের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আজ অজিত রায় চৌধুরীর শহিদান দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণসভায় আবারো সিপিএম রাজ্য সম্পাদক তথা বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন।
আজ ডি ওয়াই এফ আই ডুকলি বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে শহিদ অজিত রায় চৌধুরীর শহিদান দিবস উপলক্ষ্যে সি পি আই (এম) যোগেন্দ্রনগর অঞ্চল কার্যালয়ে স্মরণ সভা ও রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সি পি আই (এম) রাজ্য সম্পাদক তথা বিরোধী দলনেতা জীতেন্দ্র চৌধুরী, পার্টির ডুকলি মহকুমা সম্পাদক নারায়ণ দেব, রাজ্য কমিটির সদস্য সমর চক্রবর্তী, ডি ওয়াই এফ আই রাজ্য সম্পাদক নবারুন দেব, ডুকলি বিভাগীয় কমিটির সভাপতি অরিন্দম বিশ্বাস, সম্পাদক শুভংকর মজুমদার সহ অন্যান্যরা।
এদিন শ্রী চৌধুরী বলেন, ১৯৮৯ সালের ৩০-শে আগস্ট ঘাতক বাহিনীর হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছিলেন ডঃ অজিত রায় চৌধুরী। পঞ্চায়েত রক্ষার্থে নিজে আত্মবলিদান দিয়েছেন।
এদিন জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ত্রিপুরা বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর একটি নির্বাচনও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়নি। জনগণের অধিকার হরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জবরদখল করে ৭০ শতাংশ আসন দখল করে নিয়েছে। তারপর ৩০ শতাংশ আসনে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সংঘটিত দেয় না। যার ফলস্বরূপ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
তাঁর কটাক্ষ, ছাপ্পা ভোটে শাসক দলের মনোনীত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে। ছাপ্পা ভোটে বিজয়ীদের শপথ গ্রহণ বাতিল করছে জনতা। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে শাসকদলের কর্মী সর্মথকরা রক্তাক্ত হচ্ছেন। জনগন শাসক দলের প্রধান ও উপপ্রধান পদে ঘোষিত প্রার্থীদের মেনে নিতে পারছেন না। কারণ, তাঁরা দূর্নীতিতে নিমজ্জিত। এরই প্রতিবাদে পথ অবরোধ করছেন জনগণ। রাজ্যে বর্তমানে দাবানলের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।