নিজস্ব প্রতিনিধ, খোয়াই, ২৯ আগস্ট: খোয়াইতে দলীয় কর্মী দ্বারা শাসক দলীয় প্রাক্তন গ্রাম প্রধান আক্রান্ত। থানা অভিযোগ জানিয়ে বিফল হলেন বলে অভিযোগ। শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বিচার প্রত্যাশা করেন প্রাক্তন প্রধানের।
সাংবাদিক সম্মেলনে সুবিচারের আর্জি শাসক দলের প্রাক্তন প্রধান শংকরী দাসের। তিনি খোয়াই সোনাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। উনার অভিযোগ গত ২৬শে আগষ্ট সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ স্থানীয় হেমেন্দ্র শর্মার বাড়ীতে গেলে উনাকে বেধরক মারধর করেন স্বদলীয় কর্মী মৌসুমী চক্রবর্তী। লাথি, ঘুসি, চর-থাপ্পর দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এমনকি একসময় গ্রাম প্রধানকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে জুতোপেটাও করেন বলে অভিযোগ করলেন শংকরী দাস। যদিও লোকজনের উপস্থিতি বাড়তেই মৌসুমী চক্রবর্তী পালিয়ে যায়। ঘটনা খোয়াই থানাধীন সোনাতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পরবর্তী সময় স্থানীয় নেতারা বিজেপি খোয়াই মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদারের সাথে করেন এবং উনার পরামর্শে মৌসুমী দাসের বিরুদ্ধে খোয়াই মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত শংকরী দাস।
কিন্তু উনার অভিযোগ যে, অভিযোগ দায়ের করার পর বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও পুলিশ মৌসুমী চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বরং সোনাতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে মৌসুমী চক্রবর্তীর সাথে গোপন পরামর্শ করে মহিলা পুলিশ ফিরে আসে বলেও অভিযোগ করলেন শংকরী দাস। অবশেষে আইনের দরজা থেকে হতাশ হয়ে আজ সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে সুষ্ঠু বিচারের আর্জি জানালেন সোনাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান শংকরী দাস।