নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ২২ আগস্ট: রাজ্যের বিভিন্ন স্থানের মত ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কৈলাসহরে। এখনো পর্যন্ত বন্যা কবলিত এলাকার ৭৮৭৮ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন শরণার্থী শিবিরে। উদ্ধার কার্য চালিয়ে যাচ্ছে এনডিআরএফ টিম। প্রবল বর্ষণে রাজ্যের বিভিন্নস্থানের পাশাপাশি কৈলাসহরেও ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে এখনো পর্যন্ত ৭৮৭৮ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন শরণার্থী শিবিরে।
বন্যা কবলিত এলাকার দুর্গতদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ২৭টি শিবির খোলা হয়েছে কৈলাসহর মহকুমায়। দুর্গতদের উদ্ধার কাজের নিয়োজিত রয়েছে এনডিআরএফ টিম।
আগামী ২৫শে আগস্ট পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। তাই নদীর জল বর্তমানে কমের দিকে থাকলেও যেকোনো সময় বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোথাও কোন ধরনের বাঁধ ভাঙ্গার সম্ভাবনা নেই অথবা আতঙ্ক হওয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে মহকুমা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার পৌরসভার চেয়ারপার্সন মহকুমা শাসক, ব্লক আধিকার ও ডিসিএম কে সাথে নিয়ে শরণার্থী শিবির ও বাঁধ পরিদর্শন করছেন জেলাশাসক। শরণার্থী শিবির গুলিতে বিভিন্ন সমাজসেবী সংস্থাগুলি নিজ নিজ সাধ্য মতে সাহায্য প্রদান করছে।
এদিকে বন্যা পীড়িতদের সহায়তায় এগিয়ে এল রামকৃষ্ণ মিশন বেলুড় মঠ কৈলাসহর শাখা।বৃহস্পতিবার তাদের উদ্যোগে বন্যা পীড়িত ৫২৫ জনের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার শরণার্থীদের সহায়তায় মাঠে নামলো রামকৃষ্ণ মিশন বেলুড় মঠ কৈলাশহর শাখা। এদিন তাদের উদ্যোগে কৈলাশহরের রামকৃষ্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া ৫২৫ জন শরণার্থীদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন বেলুড় মঠ কৈলাশহর শাখার সহকারী অধ্যক্ষ সহ অন্যান্যরা । রামকৃষ্ণ মিশন বেলুড় মঠ কৈলাশহর শাখার এই ধরনের উদ্যোগ দেখে খুশি ব্যক্ত করেন গোটা কৈলাশহরবাসী।

